চালের দরে অস্থিরতা

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ ৫০ কেজির বস্তায় যেখানে গড়পড়তায় বেড়েছে পাঁচ টাকা, সেখানে কেজি প্রতি চালের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪-৫ টাকা। শুধু জ্বালানি তেলের প্রভাবেই নয়, এলসির চাল বাজারে ছাড়ছেন না আমদানিকারকরা; অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুসরণ করছে অতিরিক্ত মজুত নীতি; পাশাপাশি দেখানো হচ্ছে সংকট- এসব কারণ দেখিয়েই বাড়ানো হচ্ছে চালের দাম। এতে নাভিশ্বাস উঠছে ভোক্তাদের। মূলত এক ধরণের অদৃশ্য সিন্ডিকেট কারসাজিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে চালের দরে। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দাম নিয়ে সুসংবাদ পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

- Advertisement -

পরিবহন খরচ আর চালের দাম বৃদ্ধির এ হিসাবটা রাজধানী ঢাকার। ব্যবসায়ীদের হিসাবে, জ্বালানি তেল বাড়ানোর আগে ২৫ টনের চালবাহী ট্রাকের কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় আসার খরচ ছিল ১৮ হাজার টাকা। তেলের দাম বাড়ার পর সেই হিসাবে প্রতিকেজি চালে খরচ বেড়েছে ১০ পয়সার মতো।

এদিকে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কম শুল্কে লাখ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত ২০ জুলাই পর্যন্ত ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওযা হয়েছে। সেদিন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে দেশে এসেছে তিন হাজার ৬৫০ টন চাল।

অন্যদিকে ব্যবসায়িক শর্ত ভেঙে কারা চালের ব্যবসা করছেন- খতিয়ে দেখতে মাঠে নামছে সরকার, তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মজুত করা চাল-ধান উদ্ধার করে বাজারে ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এখন পর্যন্ত এলসি খোলা হয়েছে তিন লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টনের। শুল্ক কমানোর পর এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। জানা গেছে, মজুত বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। টাস্কফোর্স কখনও মোকামে, কখনও বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৬০ জেলায় চলবে এ কার্যক্রম। এ জন্য খাদ্য বিভাগের ৩৫ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ