দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে মিলে প্রথম স্ত্রীকে হত্যা

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় খুশনাহার আক্তারকে (৪৫) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন স্বামী তাজুল ইসলাম (৪৫) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছালেমা খাতুন (৩৮)। পারিবারিক কলহের জেরে গলায় রশি পেচিয়ে ওই নারীকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে মাধবপুর থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে বুধবার (১৭ আগস্ট) মাধবপুর থানা পুলিশ চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানা এলাকার একটি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার ১৬৪ ধারায় অভিযুক্ত দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, খুশনাহারের সঙ্গে তার স্বামী তাজুল ও সতীন ছালেমার পারিবারিক কলহ ছিল। এরই জের ধরে গত ৮ জুলাই রাতে তাজুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছালেমা মিলে খুশনাহারকে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যা করেন।

ওসি বলেন, পরদিন ভোরে খুশনাহারের মরদেহটি তাজুল ইসলামের ঘরের দরজার সামনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন মাধবপুর থানায় খবর দেন। পরে নিহতের ভাই মছরর আলী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। এর পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ