শেরপুরঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পূর্ব ডেফলাই গ্রামের বেদে পল্লীতে বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে জমজমাট জুয়ার আড্ডা। আর এ আড্ডায় কেউবা সর্বনাশের শিকার হচ্ছে, আবার কেউ বিনা পুজি তেই জমজমাট ব্যাবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বেদে পল্লীর কিছু সংখ্যক নিরীহ বেদেরা বলেন, কয়েকজন মাদকসেবি ও জুয়াড়িদের আড্ডায় বেদে পল্লী যেন ”নরকে“ পরিনত হয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদ করবার মতো কোনও লোক নেই।
তারা বলেন, এই বেদে পল্লীর সরদার মোঃ মাসুদ রানা, তিনি নিজেই এসব অপকর্মের সাথে জড়িত, এমনকি তারই উৎসাহ পেয়ে জমে উঠেছে এসব আড্ডা। পাশাপাশি মুদি দোকানদার শাহীন মিয়া, তাদের সরদার মাসুদ রানার নিকট অনুমতি নিয়ে, তার দোকানে কেরামবোর্ড খেলার আসর করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহীন মিয়ার দোকানে ক্যারমবোর্ড দিয়ে জুয়া ও তার দোকানের সামনে ও পিছনে জুয়ার আড্ডা। এখানে প্রতিদিন ২/৩ টা জুয়ার আসর বসে।আর এইসব জুয়ার আড্ডা থেকে ইন্টারেস্ট হিসাবে, সরদার মাসুদ রানা ও দোকানদার শাহীন হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা।
এ বিষয়ে, বেদে সরদার মাসুদ রানাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন,আমরা তাস খেলি নিয়মিত সত্য কিন্তু জুয়া নয়। তাস খেলা এটা আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্য।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার বেদে পল্লীতে আইন করেছি আমাদের মধ্যে যদি কেউ জুয়া খেলে তাহলে তার জন্য নগদ (৫০০০) হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, তিনি নিজেই তার পাস করা আইন দিনের পর দিন অমান্য করে যাচ্ছেন।
কেউ তার প্রতিবাদ করতে পারছে না। সরদার মাসুদ রানা ও দোকানদার শাহীন মিয়া ও শাহীন মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগমের এসব অপকর্মের জন্য – বেদে পল্লীর অধিকাংশ নিরীহ পরিবার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা – দ্রুত প্রশাসনের জুরুরি ভিত্তিতে সু দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।