চট্টগ্রাম নগরী হালিশহর এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. সুমন (১৭) নামে এক গ্যারেজ কর্মচারীকে খুনের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এদের বয়স ১৮ বছরের নিচে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোরদের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ সুমনকে খুনে ব্যবহৃত ছোরা এবং ছিনতাই করা মোবাইল উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাতভর নগরীর হালিশহর এলাকায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আফতাব আহমেদ বলেন, আটক ১০ জনের সবাই কিশোর অপরাধী। এরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।গ্রেফতারকৃতদের সকলের বয়স ১৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-মোঃ আল আমিন (১৬), মোঃ ফজলে রাব্বি (১৬), মোঃ আরমান (১৬),মোঃ মোস্তফা রবিন (১৮), মোঃ ফাহিম (১৮), মোঃ রাহাত মোমেন (১৫), মোঃ জনি (১৫), মোঃ কামরুল হাসান (১৬), মোঃ ফয়সাল (১৭), মোঃ মিজান (১৭)।
নগরীর হালিশহর থানা এলাকার আর্টিলারি রোডে আজিজ মিয়া মসজিদের পেছনে ঈদ উল ফিতরের পরদিন গত ১৭ জুন গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ জুন রাত ১২টার দিকে হালিশহরে বিডিআর হল থেকে ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা দেখে বের হন সুমন ও তার আরও তিন বন্ধু। তারা হেঁটে আজিজ মিয়া মসজিদের পেছনে যাওযার পর ৮ থেকে ১০ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। এসময় সুমনের কাছ থেকে তারা মোবাইল কেড়ে নেয়। সুমন ও তার বন্ধু নূরুল আলম বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাদের উপর ছুরিকাঘাত করে।
সুমনকে উরুতে এবং নুরুল আলমকে পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে সুমনের আঘাত ছিল গুরুতর। তাকে রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুমন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মৃত হেদায়েত উল্লাহর ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার চৌচালা এলাকায় তার বাসা ছিল। সেখানেই একটি গাড়ির গ্যারেজে সুমন কাজ করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।