কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তার পারিবারিক আইনজীবী দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান।
বুধবার বিকালে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এই প্রতিবেদক একথা বলেন তিনি। আহমদ আযম বলেন, ম্যাডাম বলেছেন তার চিকিৎসার করানো জরুরী কিন্তু তা না করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও সিএমএইচ এই দুই প্রতিষ্ঠানকে সরকার অযথাই বিতর্কিত করছে। সরকার এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। একবার বলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে একবার বলে সিএমএইচে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে সরকার অযথায় বির্তকিত করছেন। এই দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমার তো কোনো বির্তক নেই। কোনো অভিযোগ নেই।
আহমদ আযম বলেন, ওনি বলেছেন আমি ইউনাইটেড হাসপাতালে আগে চিকিৎসা করিয়েছি। ওখানকার ডাক্তাররা আমার রোগ সর্ম্পকে জানেন। ওখানে আমি স্বস্তিবোধ করবো। অযথা এই দুটো প্রতিষ্ঠানকে সরকার বিব্রত করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ম্যাডামের শরীর ভালো না এটাতো সবাই জানেন। ৭৪ ঊর্ধ্ব মানুষ ওনার বিভিন্ন ধরণে রোগ রয়েছে যা আমি বলতে পারবো না। কারণ আমি ডাক্তার নই। ওনার শরীর ভীষণ খারাপ। ওনার এই মুর্হূতে চিকিৎসার দরকার।
রাজনীতি প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারে যে আন্দোলন চলছে তা বেগবান করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং এই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ওনি বাইরে থাকুন আর ভেতরে থাকুন ওনি নেতৃত্ব দেবেন।
গণমাধ্যমেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। গণমাধ্যম যেভাবে ওনার নির্জন কারাবাস ও অসুস্থতার খবর তুলে ধরেছেন এজন্য। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন শান্ত থাকার জন্য। নিবার্চনকালিন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া জনগণ নিবার্চন মানবে না বলে জানান আহমদ আযম।
নিবার্চন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেছেন ওনাকে জেলে রেখে যে নির্বাচন সরকার করতে চান সেটা কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। ৫জানুয়ারি যে ধরণের নির্বাচন হয়েছে ওই নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দেয়নি। ওনাকে জেলে রেখে একটা অর্থহীন নির্বাচন দেশের মানুষ দেখতে চান না।
আহমদ আযম বলেন, পারিবারিক আইনজীবী হিসেবে গত ত্রিশ বছর ওনার বিভিন্ন আইনি বিষয়গুলো আমাকে দেখাশুনা। গত চার মাস ধরে চেষ্টা করছি ওনার সঙ্গে সাক্ষাতের। আজ অনুমতি পেলাম। পারিবারিক আইনজীবী হিসেবে ওনার সঙ্গে আমার প্রতি সপ্তাহে কাজ থাকে।