অর্থনীতির নানা খাতে চাপ থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস -এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
এই বাস্তবতায় এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস বাংলাদেশের ঋণমান নির্ণয় করেছে। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ঋণমান নির্ণয় করা হয়েছে বিবি মাইনাস এবং স্বল্প মেয়াদের জন্য বি। ২০২১ সালেও তারা একই পূর্বাভাস দিয়েছিল।
এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ধরে বাহ্যিক চাপের মধ্যে রয়েছে। আর এই চাপে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বা ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বড় ঘাটতিতে পড়েছে। কমছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক গতিপথে রয়েছে।
আগামী এক বছরের মধ্যে দেশটির অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরবে বলছে এসঅ্যান্ডপি। আগামী তিন বছর গড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে যেখানে রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়ের অবদান থাকবে বেশি।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। তবে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতি ধারাবাহিকভাবে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এসঅ্যান্ডপি। তবে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে তারা উল্লেখ করেছে।