চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে, শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার জানাজা হয়। জুমার নামাজ শেষে জানাজা পড়ান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. রুহুল আমিন।
জানাজায় অংশ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আওয়াল বলেন, তার পরিচয় একজন লেখক হিসেবে। ইতিহাস নিয়ে তিনি অনেক কিছু লিখেছেন। উনি লেখক হিসেবেই যেন বেঁচে থাকেন।
জানাজা শেষে মাহবুব তালুকদারের ছেলে শোভন মাহবুব সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চান।
গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন মাহবুব তালুকদার। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় জন্ম নেওয়া মাহবুব তালুকদার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর বিশেষ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহর জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।
তিনি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং সংসদ সচিবালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়কালে তিনি তার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন গঠিত পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেন মাহবুব তালুকদার।
তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সৃজনশীল লেখক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৪০টি। তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।