spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

‘লোকের কথায় কোহলির কিছু যায়-আসে না’

spot_img

খুব যে খারাপ খেলছেন বিরাট কোহলি, তা নয়। আবার নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি, তার ধারেকাছে নেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের এই মহাতারকা। তার পড়তি ফর্ম নিয়ে অনেক দিন ধরেই ক্রিকেট বিশ্বে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে সেসব কোহলির ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন না ভারত দলে তার সতীর্থ লোকেশ রাহুল।

- Advertisement -

কোহলির ব্যাটে এক সময় বইত রানের স্রোত। ২২ গজে গুঁড়িয়ে দিতেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। উপহার দিতেন দারুণ সব ইনিংস। এখন সেই ছন্দে পড়েছে ছেদ। তার ব্যাটে চলছে ভাটার টান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচিন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি কোহলিই ভাঙতে পারবেন, এক সময় চলত এমন আলোচনাও। সেই তিনিই কিনা তিন বছর ধরে কোনো সংস্করণে পাচ্ছেন না শতক। সবশেষ তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেয়েছেন তিনি ২০১৯ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশের বিপক্ষে কলকাতা টেস্টে।

হতাশায় ঘেরা এই সময় তিনি হাফ-সেঞ্চুরির দেখাও পাচ্ছেন না খুব একটা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ১৯ ইনিংসে তার ফিফটি চারটি। গত বছরের জুন থেকে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৫ ইনিংসে মাত্র ২৬.৭০ গড়ে তার রান মোটে ৯০৮। তার মানের একজনের নামের পাশে যা বড্ড বেমানান।

সব ব্যর্থতা ও হতাশা ঝেড়ে ফেলে কোহলির সামনে এবার নিজেকে চেনা রূপে মেলে ধরার পালা। এশিয়া কাপে সেই চ্যালেঞ্জ জিততে দলের সঙ্গে এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন তিনি।

তার পড়তি ফর্ম নিয়ে এত যে আলোচনা-সমালোচনা, কোহলির মনোজগতে এর প্রভাব পড়াটা একেবারে অস্বাভাবিক নয়। তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন রাহুল। ভারতীয় এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বললেন, বাইরের এসব আলোচনায় কিছু যায়-আসে না কোহলির।

“এসব সত্যিই একজন খেলোয়াড়কে প্রভাবিত করে না। বিশেষ করে, বিরাটের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটার বাইরে মানুষের কথায় প্রভাবিত হবে না। সে কিছুটা বিরতি পেয়েছে এবং নিজের খেলা নিয়ে কাজ করছে।”

মানুষের এসব মন্তব্য যে একেবারেই কোহলির নজরে পড়ছে না, তাও নয়। দিন দুয়েক আগে স্টার স্পোর্টসের একটি আয়োজনে তিনি যেমন এক হাত নিয়েছিলেন তার সমালোচকদের। বলেছিলেন, ‘সামর্থ্য না থাকলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এতদূর আসতে পারতাম না।’

কোহলির সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ নেই রাহুলেরও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০ সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান বাজে ফর্মে আছেন, এমনটাও মনে হচ্ছে না তার।

“যখন আমি চোটে পড়ে দুই মাস ঘরে বসে ছিলাম, তখন তার খেলা দেখেছি এবং আমার মনেই হয়নি যে সে অফ ফর্মে আছে। হতে পারে, সে নিজের যে মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে, এখন ওই পর্যায়ে নেই। তবে আমি নিশ্চিত দেশের হয়ে ম্যাচ জিততে সে ক্ষুধার্ত। ক্যারিয়ারে জুড়ে এটাই সে করে আসছে।”

আগামী রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের এশিয়া কাপে ভারতের পথচলা।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ