নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় ও রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১ হাজার ৫০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)। এ সময় তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- কামরুল হাসান (৩৬), জসিম উদ্দিন (৩৫) ও ইছাক (২৬)।
ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামানের সার্বিক তত্বাবধানে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক এই অভিযান চালায় সংস্থার তেজগাঁও সার্কেল।
তিনি বলেন, অভিযানকালে প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক কামরুল হাসানের কাছ থেকে ১০০পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে একই এলাকায় অপর মাদক ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গী নয়ন পাটোয়ারীর (৩৫) বাসায় অভিযান চালানো হয়। নয়নের বাসা থেকে ৭হাজার ৪০০পিস ইয়াবা উদ্ধার করা করা। তবে অভিযানের বিষয়ে জানতে পেরে নয়ন পালিয়ে যান।
মেহেদী হাসান বলেন, আটক কামরুল ও পলাতক নয়ন দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে ঢাকাসহ দক্ষিাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহ করছিলেন বলে অধিদপ্তরের কাছে তথ্য রয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে কক্সবাজার এলাকা থেকে মাছ পরিবহনের ট্রাকে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ঢাকায় আনার তথ্য পেয়ে রোববার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালায় ডিএনসি। এ সময় মাছ বোঝাই একটি ট্রাক থামিয়ে এর চালক জসিম ও তার সহযোগী ইছাককে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ ও ট্রাক তল্লাশি করে জসিমের কাছ থেকে ২ হাজার ও ইছাকের কাছ থেকে আরও ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি মাদক বহনে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে।
আটক জসিম ও ইছহাক দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে মাছ পরিবহনের আড়ালে ইয়াবা পরিবহন করছিলেন বলে জানিয়েছেন ডিএনসি’র সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।