বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে বটি দিয়ে কুপিয়ে স্বামী শহিদুল ইসলামকে হত্যার দায়ে স্ত্রী খাদিজা বেগমকে (৪০) ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচাররক।
রবিবার (২৮ আগস্ট) বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, খাদিজা বেগম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোচপুকুর গ্রামের হাফিজার রহমানের মেয়ে। বেশ কয়েক বছর আগে একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরবর্তীতে খাদিজা বেগম চাকরি করতে সৌদি আরবে চলে যান। সেখান থেকে ফিরে স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছিলেন। গত ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ২টার দিকে দু’জনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত খাদিজা বটি দিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে আহত করে। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শহিদুলের মা সাইজান বিবি প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় খাদিজাকে আটক করে পুলিশে দেন। ছেলেকে হত্যার অভিযোগে তিনি দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা করেন।
পিপি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন জানান, গ্রেফতারের পর থেকে খাদিজা জেলহাজতে ছিলেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে রবিবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার একমাত্র আসামি খাদিজা বেগমকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে
তাকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।