নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকালে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় দলের দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের ইটভাটা মাঠে সমাবেশ ডাকে বিএনপি।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সমাবেশে আসার পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ইট-পাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মানুষজন ফুঁসে উঠেছেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে আমাদের ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকাল পৌনে ৫টায় ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।সমাবেশ শেষে আমার নেতৃত্বে গাজিরহাট মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল গাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা চালানো হয়। সেইসঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাজিরহাট মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। তাদের হামলায় আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরে কথা বলবো।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, পুলিশ সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দুই পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।