শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়া আফগানিস্তান। ম্যানেজমেন্টকে তাই ভাবতে হচ্ছে একাদশ নিয়ে। ওপেনিংয়ে বিজয় ও নাঈমকে দেখা যেতে পারে। একাদশে থাকতে পারেন দুই পেসার ও তিন স্পিনার। নানা পরিবর্তনের পর নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে, সাকিব-শ্রীধরনের হাত ধরে জয় দিয়ে শুরুর প্রত্যাশা বাংলাদেশের। শারজায় খেলা শুরু রাত আটটায়।
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। আফগান ভয়ে বাংলাদেশ যখন কোনঠাসা তখন শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে রাশীদ-নাবীরা। তাতে বাংলাদেশের ভয় বেড়ে গেছে কয়েকগুন।
তিন স্পিনার নাবী, রাশীদ, মুজিবকে নিয়ে রাজ্যের ভয়। পেসার ফারুকী, নাভিনের ফর্ম ভাবনা বাড়িয়েছে। পাঁচ বোলারের কাকে দেখে আর কাকে অ্যাটাক করে খেলবে, বাংলাদেশ ব্যাটাররা সেটা বেছে নেয়াই কঠিন।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের বড় মন্ত্র হতে পারে নির্ভার থেকে খেলা। বিসিবি ক্রিকেটারদের বলে দিয়েছে, খারাপ কিছু হলে চাপ নেয়ার কিছু নেই। সাকিবের অধীনে দায়িত্ব নিতে হবে অভিজ্ঞ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মুস্তাফিজকে।
বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম বলেন, আমরা আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। নাবী, রাশীদ অথবা মুজিবের বিপক্ষে না। ওদের বেশ কিছু ভাল ক্রিকেটার আছে। আমাদের সামর্থ্য আছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে হবে।
দুই দলের ৮ বারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। পাঁচ জয় আফগানদের, সাকিবদের তিন জয়ের সবগুলো দেশের মাটিতে। শারজা ভেন্যুতে আফগানিস্তান খেলেছে ১৩ ম্যাচ আর বাংলাদেশ দুইটি, যার একটাতেও জয় নেই।
পরিসংখ্যান আর ফর্মের বিচার ছাড়াও কন্ডিশন পক্ষে থাকবে আফগানদের। উইকেট থেকে সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। যেখানে ২৫ ম্যাচের ১৬টাতেই জিতেছে আগে ব্যাট করা দল। প্রতিপক্ষের চেয়েও বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জে একাদশ ঠিক করা। ওপেনিংয়ে বিজয়-নাঈম, আর মিডল অর্ডারে দেখা যেতে পারে সৈকতকে।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী বলেন, একটা নতুন ম্যাচ খেলতে নামবো। সাকিব ওদের অধিনায়ক, এটা বড় একটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আমরা আমাদের দায়িত্ব জানি, মাঠে ১০০ ভাগ দেয়ার চেষ্টা করবো।
শুধু ব্যাটিংটায় নয়, বাংলাদেশকে ভাবতে হবে বোলিং নিয়েও। মুস্তাফিজ-তাসকিন-নাসুমদের ধারাবাহিকতার অভাব চিন্তার কারণ। গুরবাজ-জাজাই, নাজিবউল্লাহদের যে ফর্ম তাতে কেউ সেট হয়ে গেলে ম্যাচ ফসকে যেতে পারে হাত থেকে।