বৈশ্বিক উষ্ণতায় বাড়ছে গরমের মাত্রা। বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১১২ জন।
মঙ্গলবার আক্রান্ত ছিল ১০৮ জন। শুধু আগস্ট মাসেই ২ হাজার ৫৫০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আশার বিষয় ২ হাজার ৪৪৫ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিবছর গরমের মৌসুমেই বাড়ে পানিবাহিত রোগের সংখ্যা। বিশেষ করে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে পানি দীর্ঘ সময় ধরে ফুটিয়ে খাওয়াসহ দৈনন্দিন খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালে ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই একটা নির্দিষ্ট এলাকার। যেহেতু সময় খারাপ, তাই খাওয়া-দাওয়ায় আরও অধিক সচেতন থাকার পাশাপাশি খাবার পানি ফুটিয়ে পান করা উচিত।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় ১৫টি উপজেলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। আক্রান্তদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু ডায়রিয়া আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী এক-দুই দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাই তেমন সমস্যা হবে না আশা করি। তাছাড়া পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন মজুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া ও কলেরা পানিবাহিত রোগ হওয়ায় পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে এবং খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জেলার জনসংখ্যা অনুসারে উপজেলা পর্যায়ে দৈনিক এই সংখ্যক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক।