রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
spot_img

চট্টগ্রাম থেকে কৃষিপণ্যের আইপি ইস্যু বন্ধে উদ্বেগ সিএমসিসিআই’র

 

তৌহিদুর রহমান : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি খলিলুর রহমান চট্টগ্রাম থেকে কৃষি পণ্য আমদানির অনুমোদনপত্র বা ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছেন। গতকাল রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ২০০২ সাল থেকে চলমান আইপি অনুমোদনপত্র জারি রহিত করে পুনরায় রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীভূত করার উদ্যোগ অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। চট্টগ্রামের গুরুত্ব কমিয়ে আনা সরকারি নীতির পরিপন্থী। আমদানিকারকরা চট্টগ্রাম কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ২-১ দিনের মধ্যে যে আইপি পেতেন তা ঢাকা থেকে আনতে ৭-৮ দিন লেগে যাবে। ফলে ব্যবসা ব্যয় আরও এক দফা বাড়বে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এ অঞ্চলে আমাদের ব্যবসা ব্যয় এমনিতেই সর্বোচ্চ বলে বিবেচিত। বিগত প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে চলমান প্রক্রিয়া আমাদের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় পুনরায় আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি চলমান সরকারি নীতির বরখেলাপ। নানা জটিলতার মধ্যে ঢাকা থেকে আইপি সংগ্রহ করে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) করার ক্ষেত্রে ব্যাংকে সময়ক্ষেপণ অগ্রহণযোগ্য। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছায় কৃষিপণ্য আমদানিকারক ক্ষতিগ্রস্থ হলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাঁধে ব্যয়ভার বাড়বে যা সরকার এবং ব্যবসায়ী কারও কাম্য নয়। সব বিবেচনায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আইপি ইস্যুর এখতিয়ার ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আমাদের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর করতে সহায়ক। খলিলুর রহমান আশা করেন, সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে চলমান ব্যবসা-বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নেবেন। বিষয়টি সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং গতিশীল নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশে সহায়ক বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ