চট্টগ্রামে ঈদ পূণর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আ জ ম ওবায়দুল্লাহসহ ২১০ জনকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, ‘অবৈধ সরকার’ ক্ষমতার নেশায় উন্মাদ হয়ে গেছে। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে পুলিশকে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। পুলিশও একের পর এক বেআইনি ও সংবিধান বিরোধী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল রাতে চট্টগ্রামের একটি স্বানামধন্য হোটেল থেকে ঈদ পূণর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে কোন কারণ ছাড়াই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই কান্ডজ্ঞানহীন অপকর্ম ঢাকতে পুলিশ বলেছে গোপন বৈঠক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জাতি জানতে চায়, একটি স্বনামধন্য হোটেলের অডিটরিয়ামে প্রায় ৩০০ মানুষের উপস্থিতিতে একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান গোপন বৈঠক হয় কিভাবে? দেশে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করাও কি পুলিশের কাছে অপরাধ? সংবিধান থেকে অনুষ্ঠান, সভা সমাবেশ করার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি তুলে দেয়া হয়েছে কি না? যদি তুলে দেয়া না হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ আইনের পবিত্র পোষাকে এমন বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে কিসের ভিত্তিতে? পরিকল্পিত ভাবে নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এই দায়িত্বহীন আচরণ কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। নিরীহ ছাত্রদের অন্যায় ভাবে আটক সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে সচেতন দেশবাসী মনে করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সব চেয়ে বড় আনন্দ উৎসব, যেখানে সবাই একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়, সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করে। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ হয়েও এখানে ঈদ আনন্দটুকু ভাগাভাগি করে নেয়ার সুযোগও দিচ্ছেনা ইসলাম বিদ্ধেষী সরকার।
পুলিশ সেখানে এতটাই নিন্ম মন-মানষিকতার পরিচয় দিয়েছে যে, তারা অনুষ্ঠানের দর্শকদের পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আইনের লেবাসে এসব দলীয় পুলিশের দায়িত্বহীন বাড়াবাড়ি জাতিকে চরম ভাবে বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছে।
অবৈধ সরকারের অনৈতিক অনুকম্পা পেতে অতিউৎসাহি পুলিশ সদস্যরা বরাবরাই এমন ঘৃন্য কর্মকান্ডের জন্ম দিচ্ছে। যা জনগণকে দারুণ ভাবে হতাশ করছে। ফলে জনগণের কাছে পুলিশ এখন আস্থাহীনতার প্রতিকে পরিণত হয়েছে। পুলিশের এমন ধারাবাহিক প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় হাজারো মেধাবী ছাত্রের শিক্ষা জীবন আজ ধ্বংসের মুখে। জনগণ নিজেদের কষ্টের অর্থে পুলিশকে লালন করে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়ার জন্য নয়। অবিলম্বে এমন বেআইনি ও ঘৃন্য অপকর্ম বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। জনগণ আর এমন অমানবিক নজির দেখতে প্রস্তুত নয়। বিজ্ঞপ্তি