সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা বসাতে চায় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব জানান, ভোট ডাকাতি রোধ করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে কত আসনে সিসি ক্যামেরা বসবে তা নির্ভর করছে অর্থ বরাদ্দ ও সক্ষমতার ওপর।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হয় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে। কমিশনের দাবি, এর ফরে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সহিংসতা এড়ানো গেছে। কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগের সুযোগও পায়নি কোনো পক্ষ।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান জানান, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে ভালাে ফল পেয়েছে কমিশন, সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ দেখে বারো জন কে গ্রেপ্তার করেছে ওই নির্বাচনে।
আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছে কমিশন। তবে তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩ কেন্দ্রের ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়। চলমান হালনাগাদ শেষে ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ আরও বাড়বে। ফলে শুধু ভোটকক্ষে ব্যবহার করলেও সিসি ক্যামেরা লাগবে দুই লাখের বেশি।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, অর্থ বরাদ্দে ও সক্ষমতার ওপর নির্ভর করেছ কত আসনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। জানান, ‘সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য খরচ আছে, খরচের উপরে একটা বাজেট ধার্য করবো অর্থমন্ত্রনালয়ে এবং এর ওপর নির্ভর করছে আমরা কতটা সফল হচ্ছি।’
এখন থেকে সিটি করপোরেশন থেকে পৌরসভা সব নির্বাচনে প্রতি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।