চালক ধূমপানে ব্যস্ত থাকার কারণেই রংপুরের তারাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আদরের ছোট ভাই জুয়েলকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবুল সরকার। আর স্বামীর শোকে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন দুই সন্তানের মা রফিকা বেগম। বাবা ছাড়া কিভাবে বড় করবেন সন্তানদের, সে প্রশ্ন তার।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা অভিযোগ জানান, মধ্যরাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও গাড়ির চালক ধূমপানে বেশি মনোযোগী ছিলেন। সেজন্যই বিপরীত দিক থেকে আসা বাস ঠিকমতো খেয়াল করতে পারেননি তিনি। ওই চালক মাদকাসক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ যাত্রীদের।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন রংপুর তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ।
গতকাল রাত ১টায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে পৌঁছালে সংঘর্ষ হয় ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে জোয়ানা পরিবহনের। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৫ জন। আহতদের হাসপাতালে নিলে বাড়ে মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৯ জনের। আহত হয়েছেন আরো ৭০ জন।
এর আগে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে ২০২১ সালের মার্চে ২টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হয়।
গত দেড় বছরের রংপুর বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৫২টি। এর মধ্যে মারা গেছে ৪শ ৪২ জন। গত ২১ সালের মার্চ মাসে রংপুরের তারাগঞ্জের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হয়।আর ২০২২ সালে ৫ সেপ্টেম্বর দুই বাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়। রংপুর বিভাগে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা এতে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই।