৮ মাসে ৩৬৪ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গত আট মাসেই আত্মহত্যা করেছে ৩৬৪ জন। সাইবার বুলিং এর বড় কারণ। সুস্থ বিনোদনের অভাবে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে ঢাকা জেলার শিক্ষার্থীরা। বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গবেষণা সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এসব তথ্য।

- Advertisement -

করোনাকালে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ, আড্ডা, দল বেঁধে পড়ালেখা সবই হয়ে যায় অনলাইন নির্ভর।

অনলাইনে অনেক সময়ই ব্যক্তির অভিব্যক্তি পুরোপুরি বোঝা যায় না।এ কারণে বাড়ে ভুল বোঝাবুঝি, মনোমালিন্য। করোনার সময় থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে সাইবার বুলিং। ২০২০ সালে ১৫১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। আর এ বছর আট মাসেই ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। বেশিরভাগ ঘটনার পেছনেই ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার।

আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক লাবনী আক্তার বলেন, ২০২০ সাল থেকে ২০২১ এর ১৩ মাসে গণমাধম্যের তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। তখন মোট ১৫১ জন ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার তথ্য আমরা রেকর্ড করেছি। আর এ বছর ৮ মাসের আত্মহত্যা করেছেন ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী।

প্রেমে ব্যর্থতা, পরীক্ষায় ফেল, ধর্ষণের মত ঘটনাগুলো এখন আর চাপা থাকছে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে বেশিরভাগই প্রকাশ পাচ্ছে। আর অনলাইনেই বুলিং-এর শিকার হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, আত্মহত্যার কারণগুলো খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তবে নতুন যুক্ত হয়েছে সাইবার বুলিং। জীবনের ব্যর্থতা, ঈর্ষা আর ব্যক্তিগত তথ্যগুলো এখন অনলাইনে শেয়ার হচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে হতাশা। আর এ থেকেই বাড়ছে আত্মহত্যা।

আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করার বিকল্প নেই। এ বিষয়ে পরিবারকেই প্রধান ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সর্বশেষ