নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল শাখা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম ক্লাবে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন’র ডেপুটি গভর্নর ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বি. জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের ব্যুরো প্রধান তপন চক্রবর্তী। সি প্লাস টিভির প্রধান সম্পাদক আলমগীর অপু। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান উল্লাহ বাহার’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ’র সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, মানবাধিকার আন্দোলনে অর্থ মুখ্য নয় দরকার সদিচ্ছা, আন্তরিকতা। দেশে সব ক্ষেত্রে ভালো মন্দ দুটি আছে। কোনো ক্ষেত্রে ভালোর পাল ভারী, কোথাও মন্দের। কোনো কোনো মানবাধিকার সংগঠনের কারণে মানবাধিকার সুরক্ষার পরিবর্তে লঙ্ঘিত হয়। আমিনুল হক বাবু মানবাধিকার সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। তাদের মানবিক কার্যক্রমে অনেক শিশু-নারী উপকৃত হয়েছে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। এগুলো অনুপম দৃষ্টান্ত।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি বলেন, মানবাধিকার আন্দোলন শুধু বক্তৃতা, পোস্টার, ফেসবুকের পোস্ট নয়। এটি মনেপ্রাণে উপলব্ধির বিষয়। এর জন্য প্রধান কাজ আত্ম-সমালোচনা, আত্ম পরিশুদ্ধি ও নাগরিক দায়িত্ব পালন করা। মানবাধিকার কর্মীরা সাধারণ নন, তারা সাহসী, উদ্যমী। সমাজের অংশ এ হাসপাতাল। তাই সামাজিক অবক্ষয়ের প্রভাব হাসপাতালের ওপর পড়ছে। ৫০০ শয্যার হাসপাতালে তিন হাজার রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। আমি কেন সুন্দর বিছানা, পরিষ্কার মেঝে দিতে পারি না এটি আমার ব্যর্থতা। তবে আমি আশাকরি ৫০০ শয্যার ভবন, ১০০ শয্যার বার্ন ইউনিট হবে। চমেকে বিশ্বমানের পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একটি শিশু হাসপাতাল হবে চট্টগ্রামে। তপন চক্রবর্তী বলেন, শেকলবন্দি শিশু মাধবীকে নিয়ে বাংলানিউজ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মানবাধিকার সংগঠক আমিনুল হক বাবু তাকে মুক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেই পরিবারটিকে নতুন রিকশা দিয়ে পুনর্বাসিত করেন। এরপর বিলকিসকে শেকলমুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনেন। এসব ঘটনা মানবাধিকার সংগঠন সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে দিয়েছে। আলমগীর অপু তার বক্তব্যে বলেন, মানবাধিকার বলতে যা বোঝায় আমিনুল হক বাবু সেই কাজগুলো করছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি আমিনুল হক বাবু সভাপতির বক্তব্যে বলেছেন, কোনো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সেটি বাস্তবায়ন করা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। আমাদের সমাজে বড় বড় কথা বলেন এমন অনেকেই আছেন। তবে বাস্তবের মাটিতে তাদের কোন দম্ভই টিকে থাকেনা! তাই কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী হতে হবে! চেষ্টা করছি চট্টগ্রামের মানুষের জন্য কাজ করতে। মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি আল সাদাত দোভাষ সাগর, সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান, আসাদুজ্জামান খান, সহ-সভাপতি মনজুরুল হক, তানভীর শাহরিয়ার রিমন, মঈনুদ্দিন কাদের লাভলু, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ, মোঃ বখতেয়ার উদ্দিন, সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার, হিমাদ্রী রাহা, আশরাফুল আলম আকাশ, মশিউর রহমান, এহসানুল হক প্রমুখ। পরে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সম্মাননা স্মারক তুলে দেন, চমেক পরিচালক বি. জেনারেল মোঃ জালাল উদ্দিন, সি প¬াসের প্রধান সম্পাদক আলমগীর অপু, বাংলানিউজের ব্যুরো প্রধান তপন চক্রবর্তী, আশরাফুল আলম আকাশ, হিমাদ্রী রাহা, অ্যাডভোকেট সাবরিনা চৌধুরী, আসাদুর রহমান, মনজুরুল হক, ইঞ্জিনিয়ার ইমরান, মহসিন ভূঁইয়া, মাসুদ পারভেজ, এমদাদ চৌধুরী, শেখ ওয়ালিদ হাসান, সুদর্শন দাশ, রিগ্যান আচার্য, মশিউল আলম, হাজি চান্দু মিয়া, তানজিদ কামরান, মোঃ নাসির উদ্দিনের হাতে ।