দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে নিহত বাংলাদেশী কিশোর মিনার হোসেন বাবুর মরদেহ চারদিন পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের দাইনুর সীমান্ত দিয়ে সোমবার বিকেলে মরদেহ বিজিবির কাছে ফেরত দেয়া হয়। এর আগে সকাল ১০টায় বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মরদেহটি বিজিবির কাছ থেকে নিয়ে আমরা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। যেহেতু ভারতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, তাই বাংলাদেশ আর ময়নাতদন্ত হবে না।’
সীমান্তে মিনারের মৃত্যুর পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দিকে আঙুল উঠলেও মিনারের মা যে মামলা করেছেন, তাতে আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশের কয়েকজনকে।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, পেশাদার মাদক ও সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
গত বুধবার মধ্যরাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তের ৩১৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে মারা যায় ১৬ বছর বয়সী মিনার হোসেন বাবু। তার মরদেহ বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে যাওয়ার পর অভিযোগ ওঠে তাদের গুলিতেই মারা গেছে মিনার।
এর মধ্যে শনিবার মিনারের মা মিনারা পারভীন দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় যে অভিযোগ করেন, তাতে আসামি করা হয়েছে সদরের খানপুর পাতপাড়া গ্রামের সুমন হোসেন, খানপুর খুদিহার এলাকার এন্তাজুল হক ও সাগর, খানপুর ফকিরপাড়া এলাকার আতাউর রহমান ও মোসলেম বাহারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সবাই পেশাদার মাদক ও সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে মিনার বাবুকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামি সুমন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সীমান্তে যায়। পরে তারা মিনার বাবুকে অতর্কিতভাবে আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং বুকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ সীমান্তের ৩১৫ নম্বর পিলারের কাছে ফেলে রেখে যায়।
মিনার বাবুর মা উল্লেখ করেন, পরের দিন লোকমুখে শুনতে পান যে তার ছেলের মরদেহ সীমান্তে পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিনারের মা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। মরদেহ দেশে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।