যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘অতীতের প্রতিটি আন্দোলনে শেখ হাসিনার পক্ষে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে যুবলীগ। বিএনপির মোকাবিলায় এবার প্রয়োজন হলে যুদ্ধে অবতীর্ণ হব আমরা। যেখানে তাদের দেখা যাবে, সেখানে মোকাবিলা করবে যুবলীগ। ১০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে চায় তারা। বিএনপির অপেক্ষায় ১০ ডিসেম্বর রাজপথে থাকবে যুবলীগ।’ আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রস্তুতি সভায় শেখ পরশ এ কথা বলেন। ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দীন উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ সফল করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নেত্রী কেন এই যুব সমাবেশ করতে বলেছেন, সেটি সময় হলে বুঝতে পারবেন। আমাদের রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সমাবেশে অংশ নিতে হবে।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না। জামায়াত-শিবির ছাড়া বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। এখন তাদের নিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে তারা। তারা নখদন্তহীন বাঘে পরিণত হয়েছে। এবার সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামলে গণধোলাই খাবে। হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না, আমরা ভেসে আসিনি।’
সভায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের মোকাবিলায় ১১ নভেম্বরের মহাসমাবেশ। এটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে, সেখানে খোলা ময়দানে বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশনা শুনতে সেদিন ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন ঢাকাবাসী। এটি হবে শান্তির সমাবেশ, উন্নয়নের সমাবেশ। বিএনপি-জামায়াতকে যেখানেই দেখবেন, সেখানে মোকাবিলা করতে হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচএম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় সভায় যুবলীগের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা বক্তব্য দেন।