spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

মির্জা ফখরুল কুত্তা মার্কা নির্বাচন মন্তব্য করায় ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের

spot_img

দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিয়ে করা বিএনপি মহাসচিবের বিরূপ মন্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আলোচনাসভায় এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিবের কি বিশ্রি মন্তব্য। বিষাক্ত কথা। কী করে বের হয়? দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। তিনি কি গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি? সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ শব্দ ব্যবহার করার পরও মার্কিন ভিসানীতি এখানে কী করবে— এটিতে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যারা বিদেশ থেকে কথা বলছেন, এ ঘটনায় তারা কি ব্যবস্থা নেয়? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় নয়? এটা কারা করেছে- বিএনপি ও তার দোসররা।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করবে, গ্রেফতার করা হলে বলবেন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে! বিনাবিচারে আটক, অভিযোগের অন্ত নেই।
বক্তব্যে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি উপর্যুপরি আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে বলেছিলেন হাঁটুভাঙা দল। আমাদের হাঁটু ভাঙেনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাঁটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না, আমাদের ইমানের শক্তি আছে, দেশপ্রেম আছে। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস এ দেশের জনগণ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা রাজনীতির নামে বড় বড় কথা বলে, মিথ্যাচার করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ যাতে আরও কষ্টে নিপতিত হয়। যাতে বাংলাদেশ সক্ষমতার সঙ্গে চলতে না পারে। আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের বাইরে থেকেও খেলা চলছে। চক্রান্ত চলছে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করছে। ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সে অর্থ আছে। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বলা হচ্ছে— বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটা আমাদের— মাথাব্যথা তাদের।

ওবায়দুল কাদের এ সময় বলেন, কেউ কেউ মনকলা খাচ্ছে— এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এলো। ভিসানীতিতে পড়ল আওয়ামী লীগ সরকার। ফখরুল তো দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখছে।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানবিক কারণে তাদের পাশে আছে। আমাদের সংকটের মধ্যেও ১২ লাখ রোহিঙ্গার খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব নিতে হয়েছে। জাতিসংঘ এদের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় ফান্ড দিতে পারছে না বলে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। ফান্ড ইতোমধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন তারা কি এটা জানেন না। এ সংকটে ১২ লাখ লোকের দায়িত্ব আমরা কীভাবে পালন করব?

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইদৌলী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।

পরে কৃষক লীগের বি়ভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ