রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
spot_img

খালেদা জিয়া ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না,মওদুদ

 

- Advertisement -

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ । গতকাল বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার’- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। এখন তারা জামিন নিয়েও তালবাহানা করছে। বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সেইদিন হবে যেদিন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
আজকে ভারত থেকে শুরু করে সকল প্রতিবেশী দেশ চায় বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। সেই নির্বাচনের জন্য অবশ্যই খালেদা জিয়ার মুক্তি ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও আজকে আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি। এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর কিছু হতে পারে না। তাহলে কি আমরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ জাতিতে পরিণত হয়েছি? আমরা একটি রাজনৈতিক দল করি। শুধুমাত্র এই দল দিয়ে হবে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটা জাতীয় ঐক্য দরকার। সর্বদলীয় জাতীয় ঐক্য তৈরি করে গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। আগামী তিন মাসের খেলায় আপনারা একটু সক্রিয় থাকেন। খাতায় লিখে রাখতে পারেন একটা একটা করে মিলিয়ে দেখবেন। আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির পর শেখ হাসিনার সরকার এখানে থাকবে না। শেখ হাসিনার প্রতি রাগ করে আমি এ কথা বলছি না। ২ কোটি টাকার একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ বছরের মধ্যে ৪ লাখ হাজার কোটি টাকার কোনো খোঁজ-খবর নেই। এই টাকার জন্য কত বছরের সাজা হব? কত জন মানুষকে হত্যা করেছেন তার হিসাব আছে? এগুলোর জবাব দিতে হবে। ইলিয়াস আলীসহ যাদেরকে গুম করেছেন তাদেরকে ফেরত দিতে হবে। আমরা ফেরত চাইবো। এটি ডিসেম্বর ও জানুয়ারির পরেই ফেরত দিতে হবে। কারণ বেগম জিয়া আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নিয়মনীতি। আমরা আপনাদের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে জনমত গঠন করবো। মালয়েশিয়ার ঘটনা দেখেন আগের প্রধানমন্ত্রী কোথায় এখন? তিনি বলেন, বিএনপি দু’টি ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর একটি নির্বাচন আর অপরটি গণঅভ্যুত্থান। যদি পরিষ্কার ভাল নির্বাচনের ব্যবস্থা না হয় তাহলে গণঅভ্যুত্থান। আর ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা হলে নির্বাচনের অভ্যুত্থান দিয়েই দেখিয়ে দেবো বাংলাদেশে কারা শক্তিশালী।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আ স ম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, কৃষকদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী প্রমুখ।

সর্বশেষ