৭জানুয়ারি (রোববার) জাতীয় নির্বাচনের দিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘গণকারফিউ’ ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট। এদিন জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় গণসংযোগ এবং পদযাত্রা শেষে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা জানান, ৭ তারিখ ‘ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা’ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারেন।
জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে সরকার: সমমনা জোট
তারা বলছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই ভারতীয়রা খুব তৎপর হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক মহলে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক দেখাতে গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা আবারও সক্রিয় হচ্ছেন।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা গণকারফিউ ঘোষণা করে ছিলেন। ইনশাআল্লাহ ২০২৪ সালে জনগণের গণকারফিউ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। ৭ তারিখ ১২ দলীয় জোট সকাল-সন্ধ্যা গণকারফিউ পালন করবে। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি ঘর থেকে বের হবেন না। ভোট দিতে যাবেন না।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ৭ তারিখ ফেলানী হত্যা দিবসে অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আমাদের আফসোস হয়! আমার বোন ফেলানীকে দিল্লি যেভাবে কাটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছে, ঠিক একইভাবে ৭ তারিখের নির্বাচনের পর বাংলাদেশকে দিল্লির দাদা বাবুরা ঝুলিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, কথাবার্তা পরিষ্কার! দিল্লির প্রেসক্রিপশনে ৭ তারিখ পুতুল খেলা নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না, ইনশাআল্লাহ