spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

চট্টগ্রামে নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আকমল আলী এবং কর্ণফুলী নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৪ লাখ টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।  মঙ্গলবার সকাল ৮টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ। জেলা মৎস্য অফিস, নৌ-পুলিশ এবং কোস্টগার্ড যৌথ এই অভিযান চালানো হয়।এ ছাড়াও অভিযানে নৌ-পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলেরর সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ফোর্সরা অংশ নেন।

- Advertisement -

নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, নগরের পতেঙ্গা থানার সী-বিচ এলাকা, ইপিজেডের আকমল আলী সাগরপাড় এবং কর্ণফুলী নদী এলাকায় টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩ কোটি টাকা মূল্যের দুই লাখ মিটার চরঘেরা জাল, ৪ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি বেহুন্দী জাল এবং ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১০০টি বাঁশের খুঁটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাল ও সামগ্রীর সর্বমোট মূল্য ৩ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে সরকার। সারাদেশে অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, খুঁটি জাল, চরঘেরা জাল, মশারি জাল ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল অপসারণে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. একরাম উল্লাহ বলেন, চরঘেরা জাল, বেহুন্দী জাল ও কারেন্ট জালসহ যেসব নিষিদ্ধ জাল আছে সেগুলো ধ্বংসে আমাদের এ অভিযান মাসব্যাপী ৩ ধাপে চলবে। আজকেও আমরা বিভিন্ন জায়গায় কোস্টগার্ডসহ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ কোটির অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার করেছি। উদ্ধারকৃত চরঘেরা জাল, বেহুন্দী জাল ও বাঁশ উপস্থিত জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রচলিত নিয়ম মাফিক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। তিনি আরও বলেন, সারাবছর আমাদের দেশীয় মাছসহ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা অভিযান পরিচালনা করে থাকলেও এই মাসটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমরা অভিযানগুলো পরিচালনা করছি।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ