নিজস্ব প্রতিবেদক: জমে উঠেছে সিআরবি সিরিষতলায় অমর একুশে বইমেলা। এই অমর একুশের বইমেলায় কয়েকজন লেখকের সঙ্গে আড্ডা মেতে উঠেছিল। ২২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ এর গ্রন্থকুটির স্টলে (নং-১১১-১১২) এ আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। অড্ডার মধ্যমনি ছিলেন দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন চন্দ্র পাল (আর.সি.পাল)। উপস্থিত ছিলেন, অচিন ফুলের সুবাসের লেখক ইমন চৌধুরী, আবৃত্তি প্রতিযোগিতার লেখক সত্যজিৎ চৌধুরী, ডিজিটাল প্রবাদ,অ্যানালগ কার্টুনের লেখক কাওছার মাহমুদ, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল প্রমূখ। লেখকদের শুভেচ্ছা জানান দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ কর্মকর্তা অশোক পাল (বাচ্চু), অভিজিৎ পাল (অপু)। আড্ডায় দিকদর্শন প্রকাশনীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন চন্দ্র পাল বলেন, একজন লেখক তার সুপ্ত ভাবনা এবং চিন্তাকে সৃজনশীল লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। কবি-সাহিত্যিক-লেখকরা তাদের সব জ্ঞান বইয়ের পাতায় ঢেলে দেন, বই পড়ে সেই জ্ঞানের আলো সংগ্রহ করা যায়। তিনি বলেন, বই পড়ার অভ্যাসটি আমাদের শব্দভান্ডার বাড়ায়। আমরা যত বেশি বই পড়ব তত বেশি আমাদের শব্দভান্ডারে নতুন নতুন শব্দ যোগ হতে থাকবে। তিনি বলেন, ধুলোবালি দিয়ে ঘেরা কংক্রিটের জঞ্জালে জন্ম নেয়া এই আমাদেরকে একটু একটু করে মানুষ করে তোলে বই। একটি ভালো বই যে কোন সময় যে কোন মানুষকে আমূল বদল দিতে পারে।
‘অচিন ফুলের সুবাস’র লেখক ইমন চৌধুরী বলেন, মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেক বইমেলা নিয়ে। একজন লেখক হিসেবে এই ব্যাপারটা আমি আরও প্রবলভাবে অনুভব করি। ‘আবৃত্তি প্রতিযোগিতা’র লেখক সত্যজিৎ চৌধুরী বলেন, সারা বছর বই যতই প্রকাশ হোক না কেন একজন লেখক হিসেবে বইমেলার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকি। মেলায় নতুন বই প্রকাশ হয়, নতুন বইকে কেন্দ্র করে বছর ঘুরে পাঠক ও শুভাকাঙ্খীদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ডিজিটাল প্রবাদ,অ্যানালগ কার্টুনের লেখক কাওছার মাহমুদ বলেন, আমাদের আবেগী মনের অনুভূতি আদান-প্রদানের মেলা, লেখক-পাঠকের মহা আনন্দের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা।