spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

‘খালেদা জিয়ার জ্বর ও শরীরে ব্যথা’, দেখা পাননি স্বজনরা

spot_img

 

- Advertisement -

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন, তাঁর শরীরে ব্যথাও রয়েছে। আর এ কারণেই স্বজনরা কারাগারে গেলেও তিনি দেখা করতে পারেননি।

শনিবার বিকেলে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমের কাছে এ কথা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বড় বোন সেলিমা ইসলাম।

কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিকেলে পরিবারের পাঁচ সদস্য পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। এর মধ্যে সেলিমা ইসলাম, তাঁর স্বামী রফিকুল ইসলাম, তারেক রহমানের স্ত্রীর বোন ছিলেন।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁরা কারাগার এলাকায় প্রবেশ করেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৫টার দিকে তাঁরা কারাগারে প্রবেশ করেন। বিকেল ৬টার দিকে সবাই কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।

এ সময় বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন। তাঁর শরীরেও ব্যথা রয়েছে। এ কারণে তিনি দোতলা থেকে নেমে নীচতলায় আসতে পারেননি। তাই আমরা কারাগারে গেলেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।

রায়ের পর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়েছে। এ সময় তিনি বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিকিৎসা করায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে বারবারই তাঁকে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি করা হলেও কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি।

এর মধ্যেই গত ১১ জুলাই কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্য বা তাঁর দলের নেতারা ১১ দিন ধরে চেষ্টা করেও দেখা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১১ দিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে এবং কারো সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এটি নিয়ে তারা কোনো কথা না বলে কারাবিধির অজুহাত দেখাচ্ছে।’

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ