নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মনছুরাবাদ এলাকায় ভবন মালিক মো. আজিম রনির কাছে চাঁদা দাবি করেছেন দুর্বৃত্তরা। কিন্তু ভবনের মালিককে না পেয়ে তার বোন নুরনেছা বেগম রুবিকে (৩২) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নুরনেছা বেগম রুবি ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসাামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন—মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সুমন (৩৫), মিজানুর রহমান ওরফে সাইমন (৩০), আব্দুর রহমান (৫৫) ও পারভিন আক্তার (৪৫)।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৯ মার্চ বাড়ির নির্মাণের কাজ এবং চারপাশে দেয়াল তৈরির কাজ চলছিল। সেদিন তারা ঘটনাস্থলে এসে ভবন মালিক মো. আজিম রনির কাছে এই ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে সময় চাঁদা না পেয়ে আসামিরা ভুক্তভোগীর নির্মানাধীন দেয়াল ভেঙে ফেলে। এ সময় আজিম বাধা দিলে আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার সময় হুঁমকি প্রদান করে। পরে এলাকার বাসিন্দারা এগিয়ে এসে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর ওই আসামিরা আবারও আজিম রনির কাছে চাঁদা দাবি করে। তবে এবার চাঁদার মাত্রা বেড়ে পৌঁছায় ১০ লাখ টাকায়। কিন্তু আজিম চাঁদার টাকা না দিতে চাইলে আসামিরা চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর সকালে আবারও তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আজিম তার কর্মস্থলে ছিল। আজিমকে না পেয়ে তার বড় বোন নুরনেছা বেগম রুবির উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে এবং এক ভারি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে রুবিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. আজিম রনি বলেন, আমার কাছে তারা আগেও চাঁদা দাবি করেছিল। আমি দেইনি। উল্টো তাদের নামে মামলা করেছিলাম। আসামিরা ওই মামলায় জেল খেটে পরে জামিন নিয়ে বের হয়। মামলা করায় ওই আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও হামলার পরিকল্পনা করে। তবে ঘটনার দিন আমাকে না পেয়ে আমার বোনের উপর হামলা চালায়। আমার বোন এবার বাদি হয়ে মামলা করেছে। বিনা অপরাধে তারা বার বার আমাকে বা আমার পরিবারের উপর হামলা চালাচ্ছে। আসামিরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
এ মামলার তদন্ত করছেন ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক ইয়াছির আরাফাত। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। আমরা আবারও ঘটনাস্থলে যাবো। তবে ঘটনায় জড়িতদের এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।