spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

মাতোয়ারা ফ্রান্স, লুটপাট, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ

spot_img

 

- Advertisement -

গ্যালারিতে নাচছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। সঙ্গীতের সুরে সুরে অন্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচছেন ফার্স্টলেডি ব্রিজিত ম্যাক্রন। ফ্রান্সের বাকি মানুষের কি অবস্থা হতে পারে একবার ভাবুন! তাইতো লাখ লাখ ফরাসি রোববার রাতটি ঘুমহীন কাটিয়েছেন। পুরো ফ্রান্স জেনো আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে উঠেছিল। লাখ লাখ ফরাসি রাতভর জমায়েত হয়েছিলেন চ্যাম্পস-এলিসি’তে। তাদেরকে নিবৃত করতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে।
যখন চ্যাম্পস-এলিসি’তে এমন উদ্দামতা তখান বিভিন্ন চোরাগোপ্তা পয়েন্টে শুরু হয়ে যায় লুটপাট। ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ারে জমায়েত হয়েছিলেন প্রায় এক লাখ মানুষ। সেখানে বসানো হয়েছিল জায়ান্ট টিভি স্ক্রিন। বাজতে থাকে জাতীয় সঙ্গীত। প্যারিসের আকাশ এ রাতে অন্ধকার ছিল না। আলোয় আলোয় ভরা ছিল। আতশবাজির আলো। গাড়ি থেকে ভয়ংকর হর্ন বাজানোর শব্দ। এ এক অন্য রকম ফ্রান্স। ২০ বছর আগে ঠিক এমনই এক মুহূর্তের জন্ম হয়েছিল। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিল বিশ্বকাপ ফুটবলে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এ নিয়ে রিপোর্টের ছড়াছড়ি মিডিয়ায়। তবে এই আনন্দে যে সবাই রাতে আনন্দ করতেই ঘর থেকে বেরিয়েছিল, তা কিন্তু নয়। অনেক সুযোগ সন্ধানী এ রাতের আনন্দের মাঝে শুরু করেছিল ব্যাপক লুটপাত। বিভিন্ন দোকানপাটের সামনের অংশ ও জানালা ভেঙে লুটপাত চলতে থাকে। স্কি মাস্ক পরে প্রায় ৩০ জনের একটি দল প্রবেশ করে পাবলিসিজ ড্রাগস্টোরে। সেখান থেকে ওয়াইন, শ্যাম্পেনের বোতল নিয়ে বেরিয়ে এসে যোগ দেয় উৎসবে। এ সময় তাদের মুখে ছিল হাসি।

কেউ কেউ বোতল ও চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকে পুলিশের দিকে। জবাবে পুলিশ তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তা ছাড়া উশৃংখল আচরণ তো ছিলই। জাতীয় পতাকার তিন রং সবুজ, সাদা ও লালের সমন্বয়ে তৈরি স্মোক বোমা ছুড়েছে উদযাপনকারীরা। অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে। আবার জলকামান ব্যবহার করেছে। লোকজন প্রতিটি বাস স্টপেজে, গাছের ওপর, বিভিন্ন স্থাপনায় উঠে পড়ে। সেখান থেকে তাদের জাতীয় পতাকা দোলাতে থাকে। বিশৃংখল আচরণ ঠেকাতে আগে থেকেই রাস্তায় রাস্তায় লাইন ধরে মোতায়েন করা হয় শত শত দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর লিয়নে। রাত নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে আইফেল টাওয়ারে ১৯৯৮-২০১৮ ফ্লাশ ভেসে ওঠে। এর মধ্য দিয়ে বোঝানো হয় ফ্রান্স দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ