‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান নিয়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে পদযাত্রা শুরু করেছে ‘তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
আজ সকালে তিস্তা নদীর আশপাশের হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে গাইবান্ধা শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে শুরু করেছে একটি বিশাল পদযাত্রা। তাদের একটাই দাবি – তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও নদী সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন। এই আন্দোলনটি মূলত নদী সংলগ্ন অঞ্চলের কৃষক এবং স্থানীয় অধিকারকর্মীদের উদ্যোগে সংগঠিত করা হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে নদী ব্যবস্থাপনায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী, যা দেশের কৃষি ও জীবিকা সম্পর্কিত প্রচুর মানুষকে সরাসরি প্রভাবিত করে। কিন্তু ভারতীয় অংশে জলাধারের কারণে এই নদীর পানি প্রবাহে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশে কৃষি জমি ও পানির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
পদযাত্রা শুরু হওয়া এলাকার কৃষকরা বলছেন, ‘প্রতিবছর আমরা যে পানি পেতাম, তা এখন পাচ্ছি না। আমাদের ফসলের জন্য তিস্তা নদীর পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে কৃষির এই অবস্থা আরও খারাপ হবে।’
এই পদযাত্রায় অংশ নেয়া অনেকেই তাদের কষ্টের কথা প্রকাশ করে বলেন, “তিস্তা নদীর পানি না পাওয়ার কারণে আমাদের কৃষি জমি খরা ও ভরসাহীন হয়ে পড়েছে। তাই, আমরা ন্যায্য হিস্যা ও দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।”
এছাড়া স্থানীয়দের দাবি, তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় যথাযথ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে আগামী দিনে এই অঞ্চলের কৃষির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
সরকার এবং ভারত সরকারের কাছে তারা আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হয় এবং প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন হয়। দাবির প্রতি সরকারের সহানুভূতির পাশাপাশি জনমত তৈরি হওয়ায় এ আন্দোলন নিয়ে আরও বেশি আলোচনা হতে শুরু করেছে।
এই পদযাত্রার সঙ্গে আরও একটি লক্ষ্য রয়েছে – স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। তাদের মধ্যে নদী, পানি ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করতে চাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
এমনকি, পদযাত্রার মাধ্যমে তারা একটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরকার ও জনগণের কাছে তাদের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে চান, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অশান্তি বা সহিংসতা না ঘটে।