spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

‘হয়রানি করতে’ খালেদা জিয়াকে নাইকো মামলায় জড়ানো হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করার জন্য’ নাইকো মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আদালত। বুধবার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার সময় ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম তার পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

- Advertisement -

খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। তার পক্ষে আইনজীবী রায়ের সময় আদালতে হাজিরা দেন। খালেদা জিয়া ২০০১-২০০৬ মেয়াদে যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

খালাস পাওয়া বাকি সাতজন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

রায়ে আগে বিচারক বলেন, “প্রশ্ন হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। ডিএলআর এর ১৭ থেকে ২১ পর্যন্ত এ বিষয়ে বলা আছে। কোনো আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরায় থাকলে তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ শুনানি করা যায়। আবার রায়ও দেওয়া যায়। সেই অনুযায়ী রায় দেওয়া হচ্ছে।”পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, “একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল।

যেহেতু সেই মামলা চলে নাই, তবুও এ মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেখানেও তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার কথা বলেছেন।”

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ