spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

চট্টগ্রামে জোড়া খুন: শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রীসহ ৭ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

চট্টগ্রাম নগরে প্রাইভেট কারে ‘ব্রাশফায়ার’ করে দুজনকে খুনের দুই দিন পর সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রীসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয়-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

- Advertisement -

গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলাটি করেছেন।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মামলায় সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না ছাড়াও মোহাম্মদ হাছান, মোবারক হোসেন ইমন, খোরশেদ, রায়হান ও বোরহানকে আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয়-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সারোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। মানিক ছিলেন তাঁর গাড়িচালক আর ব্যক্তিগত কাজকর্ম করতেন আবদুল্লাহ। গত ২৯ মার্চ রাতে প্রাইভেট কারে করে নতুন ব্রিজ এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন সারোয়ার, মানিক, আবদুল্লাহ, রবিন, হৃদয় ও ইমন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাত ২টার দিকে রাজাখালী ব্রিজে পৌঁছামাত্র ছয়-সাতটি মোটরসাইকেল থেকে প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে গাড়ির পেছনের গ্লাস ছিদ্র হয়ে যায় এবং মানিক গুলিবিদ্ধ হন। ওই অবস্থায় মানিক বহদ্দারহাটের দিকে না গিয়ে বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে চকবাজারের দিকে যান। তখন মোটরসাইকেলগুলো পেছনে ধাওয়া করে। রাত সোয়া ২টার দিকে চকবাজার থানার নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কে মানিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গাড়ি থামালে ধাওয়া করা মোটরসাইকেল থেকে হাছান, ইমন, বোরহান, খোরশেদ, রায়হানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ছয়-সাতজন তাঁদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। গুলিতে মানিক ও আবদুল্লাহ, হৃদয় ও রবিন জখম হন। গাড়িতে থাকা সারোয়ার ও ইমন কৌশলে নেমে যান। এরপর গুলি ছুড়তে থাকা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিক ও আবদুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিন ও হৃদয় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি সাজ্জাদ এবং তাঁর স্ত্রী তামান্নার পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা সারোয়ার হোসেন বাবলা ও অন্যদের হত্যার জন্য নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে প্রাইভেট কারটির পিছু নেন।

সরোয়ার হোসেন বাবলাকে ‘নিশানা’ করেই প্রতিপক্ষ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা ওই গাড়িতে হামলা চালায় বলে সন্দেহ করছেন গুলিতে হতাহত ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা।

রোববার ওই ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিন জানিয়েছিলেন, সাজ্জাদের সঙ্গে সারোয়ারের আগে থেকে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্প্রতি সাজ্জাদের গ্রেপ্তার এবং রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা বেড়েছে। তাই সাজ্জাদের লোকজন সারোয়ারকে খুন করতে এ হামলা চালাতে পারে।

নিহত আবদুল্লাহর মা রাশেদা বেগম জানিয়েছিলেন, মাস দুয়েক আগে ছোট সাজ্জাদ রাউজানে তাঁর ছেলের পায়ে গুলি করেছিলেন। তাই দুই মাস তিনি ঘর থেকে বের হতে পারেননি। ঈদের মার্কেট করার জন্য দুই মাস পর ওই দিন বের হয়েছিলেন আবদুল্লাহ।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ