ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বৃহস্পতিবার রাতে ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জম্মু, রাজস্থান, পাঞ্জাব, পাঠানকোটসহ ৩৬টি শহর বা শহরের আশপাশে অবস্থিত সামরিক স্থাপনায় তুরস্কের তৈরি ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর মধ্যে ৫০টি বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের গুলিতে ভূপাতিত হয় এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যাম করে আরও ২০টি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়।
সোফিয়া কুরেশি জানান, বেশিরভাগ ড্রোন নিরস্ত্র ছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা পরীক্ষা করছিল। অনেক ড্রোনে ক্যামেরা সংযুক্ত ছিল, যা নজরদারির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।
তবে, ভারতে ড্রোন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অন্যদিকে, পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত ইসরায়েলের তৈরি হ্যারপ (Harop) ড্রোন ব্যবহার করে তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এখন পর্যন্ত ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, হ্যারপ ড্রোন একটি আত্মঘাতী ড্রোন বা ‘লয়টারিং মিউনিশন’, যা শত্রুর রাডার বা স্থির লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে নিজে বিস্ফোরিত হয়ে আঘাত হানে। ইসরায়েল নির্মিত এই ড্রোনটি দীর্ঘ সময় আকাশে ভেসে থাকতে পারে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা মানব নিয়ন্ত্রণে আক্রমণ পরিচালনা করতে সক্ষম। এটি নজরদারি ও আক্রমণ—উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।