spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

আগামী জুনে ফ্ল্যাট বুঝে পাাবেন গ্রাহকরা

চট্টগ্রামে গৃহায়নের ১০তলা বিশিষ্ট তিনটি ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে

মো.মোক্তার হোসেন বাবু
spot_img

মো.মোক্তার হোসেন বাবু :চট্টগ্রাম মহানগরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ১০তলা বিশিষ্ট তিনটি ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ করোনা মহামারি ও ছাত্রজনতার গণঅর্ভুত্থানের কারনে দীর্ঘদিন আটকে ছিল। বর্তমানে পুরোদমে কাজ চলছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জুন মাসে গ্রাহকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

- Advertisement -

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ এলাকায় ফিরোজশাহ হাউজিং এস্টেটে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে নির্মিত হচ্ছে ১০তলা বিশিষ্ট তিনটি ভবন। প্রতিটি ভবনে থাকছে ৭০টি করে ফ্ল্যাট। নির্মাণ কাজ এখনো শেষ না হলেও সবগুলো ফ্ল্যাট ইতোমধ্যে বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, চট্টগ্রামস্থ ফিরোজ শাহ-হালিশহর হাউজিং স্টেট এ ১০তলা বিশিষ্ট ২৭০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প গ্রহণের পরও জায়গা দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারের কবলে ছিল।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহেল সরকার বলেন, সীমিত আয়ের লোকজনের কথা বিবেচনা করেই ফিরোজ শাহ-হালিশহর হাউজিং স্টেট এ আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি ভবনে মোট ২৭০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। করোনা মহামারি ও ছাত্রজনতার গণঅর্ভুত্থানের কারনে দীর্ঘদিন কাজ আটকে ছিল। এছাড়া, প্রকল্পের শুরুতে ভূমি জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করা যায়নি।তিনি আরো বলেন, সকল জটিলতা কাটিয়ে এখন দ্রুত সময়ে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করে গ্রাহকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারবো।

জানা গেছে, ওই সময় দখলদারদের উচ্ছেদ করে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আরো এক থেকে দেড় বছর বিলম্ব হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর জুনে কাজ শতভাগ শেষ করে গ্রাহকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ৭৯২ বর্গফুট (গ্রস) এবং ৬৭০ বর্গফুটের (নীট) প্রতিটি ফ্ল্যাটের মূল্য ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে ভবনগুলোতে পলেস্তারা, রঙ, পাইপ-ফিটিংস এবং সিলারের কাজ চলছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটে থাকছে দুটি বেডরুম, একটি ড্রয়িং রুম, একটি ডাইনিং রুম, দু’টি ওয়াশরুম, একটি রান্না ঘর ও একটি বারান্দা।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ