এবার পাল্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধ

 

- Advertisement -

শিক্ষার্থীদের যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও পাল্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের যাত্রীরা।

আজ বুধবার সকাল থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এলোপাতাড়িভাবে তাদের যানবাহনগুলো রেখে দেয়।

নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস-মিনিবাস সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন মোবাইল ফোনে এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ বুধবার সকালে যাত্রাবাড়ীর ধনিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা যখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করে, তখন কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহী শ্রমিক নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় যানবাহন এলোপাতাড়ি রেখে অবরোধ সৃষ্টি করে। এটা কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি না।

অন্যদিকে, গত দুই দিনের ধারাবাহিকতায় আজও রাস্তা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা ছাত্র ইউনিয়নসহ সাধারণ ছাত্ররা নগরীর চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভ পয়েন্টে এই অবরোধ সৃষ্টি করে। এ সময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের সড়কপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

এদিকে আজ সকাল থেকে রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। মামলা, জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডও দেওয়া হচ্ছে। আর এ কারণে সড়কে গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে কর্মব্যস্ত দিনে সকালবেলাতেই ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

চলমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ সেতু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সবারই তো গাড়ি আছে। নিজের গাড়িকে কেই বা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মধ্যে ফেলে দিতে চায়। আমার মনে হয়, এই ভীতিটা কেটে যাবে এবং আস্তে আস্তে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

‘এটি ভীতি নাকি পেছন থেকে কেউ কলকাঠি নাড়ছে’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা শুধু ভীতির কারণ। কেননা মালিকদের যদি গাড়ি থাকে, তার গাড়িটা ভাঙচুর বা পুড়িয়ে ফেলার একটা আশঙ্কা তো থাকতেই পারে।

সর্বশেষ