নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পটিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রে মারাত্মক জখম হয়েছে স্বামী অজিত চক্রবর্ত্তী। স্বামীকে হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলাকারীদের হাতে মারধর ও শ্লীতাহানির অভিযোগ করেছে স্ত্রী শিখা চক্রবর্ত্তী। গত ২৯ জুলাই জেলার পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড অরুণ চক্রবর্ত্তীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় শিখা চক্রবর্ত্তী বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ নং- ২২৪২/১৮। অভিযুক্তরা হলেন, সুবোধ চৌধুরী (৪৮), জুয়েল চৌধুরী (৩০),তুসিত চৌধুরী (২০), রয়েল চৌধুরী (২৫), কাঞ্চন চৌধুরী (৪৫), রামপদ চক্রবর্ত্তী (৩৩), সৈকত চৌধুরী (২৮), সাজু চৌধুরী (২৮), শুভ চৌধুরী (২৬) ও তপন চৌধুরী (৫০)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধ ও মনমালিণ্যের জের ধরে শিখা চক্রবর্ত্তীর দেবর রামপদ চক্রবর্ত্তী পাশ্ববর্তী লোকজন নিয়ে ২৯ জুলাই রাতে তার স্বামী অজিত চক্রবর্ত্তীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তার স্বামীকে হত্যার উদ্দ্যেশে রাম দা দিয়ে মারাত্মক জখম করে সুবোধ চৌধুরী, তুসিত চৌধুরী, রয়েল চৌধুরী ও সৈকত চৌধুরী। রক্তার্ত অবস্থায় মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে সাথে থাকা অন্যরা লাঠি ও লোহাড় রড দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে। এসময় শিখা রানি তাদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তার উপরও চড়াও হয় হামলাকারীরা। পরে তাকেও মারধর এবং শ্লীতনাহানির চেষ্টা চালায়। স্বামী স্ত্রীর শোর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা এ ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। তবে যাওয়ার আগে শিখা রানির স্বর্ণের কানের দুল এবং দামি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পটিয়া থানা বাথুয়া ব্রাক পুষ্টিকণা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত শ্লীতাহানির শিকার শিখা রাণি জানান, পারিবারিক মতবিরোধ ও মানমালিণ্যের জের ধরে হামলাকারীরা আমার স্বামী ও আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমার স্বামী অজিত চক্রবর্ত্তীকে রক্তাত্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আমার স্বামী। তিনি বলেন, হত্যার উদ্দ্যেশে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন শিখা রানি।