spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কান দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী

spot_img

 

- Advertisement -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কেউ কান দেবেন না। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে আরো সর্তক থাকতে হবে।

রোববার সকালে গণভবনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০টি জেলার ৩০০ ইউনিয়নের অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কান দিবেন না। যাই দেখেন যাই শুনেন যাচাই করে নিবেন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী যুবক সমাজ সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব থেকে দূরে থাকবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নোংরা কথা বলা পরিহার করবেন।

তিনি বলেন, যেখানে স্কুল-কলেজ সেখানে জেব্রা ক্রসিং, ওভার পাস নির্মাণ করা হবে। অনেক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সবার সচেতনতাও প্রয়োজন। চালক ও হেলপারের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা দুর্ঘটনা রোধে সব কাজ করে যাচ্ছি।

প্রযুক্তির অপব্যবহার না করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি যেন গঠনমূলক কাজে ও মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তি সুন্দর জীবন গঠনের জন্য নোংরা কাজের জন্য নয়।

অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার সন্তানরা যাতে সন্ত্রাস, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন। গেল কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নানান কথা বলছে। তারা ধৈর্য ধরেছে। তারা সহপাঠীদের হারানোর বেদনায় রাস্তায় নেমেছে। আন্দোলন করেছে। আমরা তাদের সহায়তা করেছি। মন্ত্রী-এমপিরা সহায়তা করেছে। তাদের যা যা বলেছে তা তা করেছে। কিন্তু কোমলমতি এ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে। তারা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, গাউছিয়া মার্কেট শিক্ষার্থীদের কাপড় বিক্রি বেড়েছে। আইডি কার্ড বানানোর হিড়িক বেড়েছে। কারা করছে এসব? শিক্ষার্থীদের ঘরে রাখতে অভিভাবকদের অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের নিয়ে শঙ্কিত। যারা আগুন দিয়ে মানুষ মারতে পারে তারা অনেক কিছু করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা ট্রাফিক সপ্তাহ করছি। পুলিশ গাড়ির কাগজপত্রও ফিটনেস যাচাই বাছাই করবে। শিক্ষার্থীদের আর রাস্তায় থাকার দরকার নেই, পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পারলে তারা ভলেন্টিয়ার হয়ে থাকতে পারবে। তৃতীয় পক্ষ যদি কোন অঘটন ঘটায় তার দায় ভার কে নিবে। আপনাদের অনুরোধ করছি আপনাদের সন্তানকে স্কুলে ফিরিয়ে নিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শনিবার আমাদের আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। ইট পাথর ছোড়া হয়। কিন্তু তাদের ব্যাগে বই না থেকে পাথর কেন? কারা তাদের ব্যাগে পাথর দিয়েছে। আমাকে পার্টি অফিস থেকে বার বার ফোন দেয়া হচ্ছিল, আমি বলেছি ধৈর্য ধরো। ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। গুজব ছিল আমাদের পার্টি অফিসে লাশ আছে। নারী নির্যাতিত হয়েছে। আমরা কয়েকজনকে পার্টি অফিসে নিয়ে আসি। তারা ঘুরে দেখেছে। পরে তারা নিজেরেই গুজবের কথা স্বীকার করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, চালকরা যেন ট্রাফিক রুল মেনে চলে, যারা পথচারী তাদেরও ট্রাফিক রুল জানতে হবে, মানতে হবে। স্কুল থেকে ট্রাফিক রুল যেন শিখতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলেছি। শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, ছোট বয়স থেকে শিশুদের শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে চাই। প্রযুক্তির ব্যবহার তারা যেন নিজের জীবনকে সুন্দর করা, ভাল চিন্তা নিয়ে বেড়ে উঠে। স্বাধীন দেশের ভাবমূর্তি কোনভাবে যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সকলকে নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ২৩ বছরের ইতিহাস জানতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার চেতনা নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাফিক আইন পার্লামেন্টে নীতিগত সমর্থন দিয়ে অনুমোদন দিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যা মন্ত্রীসভায় আসবে। পরে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার পর তা পার্লামেন্ট উত্থাপন হবে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ