বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে। ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ পথ বেছে নিয়েছে সরকার। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম-অপহরণ এবং দমনপীড়ন চালিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা জনগণ কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিবৃতিতে তিনি দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কাউন্সিলর মেহেরুন্নেছা হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
তিনি বলেন, মেহেরুন্নেছা হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিংসাশ্রয়ী সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও নির্যাতনেরই ধারাবাহিকতায় তাকে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানান বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে মঙ্গলবার অপর এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব মিথ্যা প্রচারণাকে গভীর ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তাতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিবৃতিতে রিজভী বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার নিজের নামে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে মর্মে কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ক্ষমতাসীনদের মদদে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। চরিত্র হনন, সামাজিকভাবে হেয় ও জনমনে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এ ধরনের কুৎসা রটানো হচ্ছে। সংঘটিত এ অপপ্রচার গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
রিজভী বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা থেকে জনদৃষ্টি সরানোর জন্য নোংরা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং দেশবাসীকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।