ডেস্ক রিপোর্ট: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলে বিএনপি আবারো রাজনৈতিক সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার সকালে মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী ও মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের ১৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন কাদের।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি কোনো সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণই তা প্রতিহত করবে। আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন আকস্মিক গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিন দিন পর ২৪ আগস্ট আইভি রহমান মারা যান। এ হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইরজীবীদের ল পয়েন্টে উত্তর ও যুক্তিতর্ক খণ্ডন শেষে মামলার রায় ও আদেশের দিন ধার্য করবেন আদালত।
৫২ আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই তিন আসামি হলেন জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল।
এখন ৪৯ আসামির বিচার চলছে। এর মধ্যে এখনো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক। বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, সাবেক তিন আইজিপি ও পাকিস্তানের উগ্রবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন নেতা আবদুল মাজেদ বাটসহ ২৩ আসামি কারাগারে এবং আটজন জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ষড়ন্ত্রকারী হিসেবে আরো অনেকের নাম আসে। মামলায় মোট আসামি হয় ৪৯ জন।