আন্তজার্তিক ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় জেবি’র আঘাতে লন্ডভন্ড জাপান। চারদিকে ছড়িয়ে আছে ধ্বংসাবশেষ। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী এ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে বিমান, রেল ও নৌযান চলাচল বাতিল করা হয়েছে। এতে ওসাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী। তাদেরকে উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, জেবির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিয়োটো ও ওসাকা শহর।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে বাতাসের গতি কিছুটা স্তিমিত হয়ে এসেছে এবং তা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। লোকজনকে ভূমিধস ও বন্যার বিষয়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় জেবি’র আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ মানুষ। বুধবার সকালে ১২ লাখ মানুষকে উদ্ধারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি বলেছে, ৩০ হাজার মানুষের জন্য উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে তা এখনও অবশ্য পালনীয় এমন নয়। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ অন্ধকারে রয়েছেন। বহু স্কুল, কোম্পানি বন্ধ রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৮০০ ফ্লাইট। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও। বুধবার সকালে ওসাকার কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদেরকে বোটে করে অন্য একটি স্থানীয় বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। কানসাই বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি উঠেছে। সেখানে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এ বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলেন ৩০০০ মানুষ। এ বিমানবন্দরটি একটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে।