ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন । তিনি বলেন, বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলা হয়েছে অথচ ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন তাদেরকে ছাড়া জাতীয় ঐক্য কিসের!
আগামী নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় তবে আওয়ামীলীগ ৩০টার য বেশি আসন পাবে না। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য আসায় মাথা খারাপ হয়েছে গেছে আওয়ামী লীগের।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অবসান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন মোশাররফ হোসেন।
যাদের হাতে গণতন্ত্র বন্দি তাদের নিয়ে গণতন্ত্র পুরুদ্ধার সম্ভব কিনা? এমন প্রশান রেখে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের যা বলা ও করার কথা তা সরকার ও আওয়ামীলীগ নেতারা করছেন। তাই জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি সকল দলের মধ্যে নীতিগত ঐক্য গঠিত হয়েছে। আর এতে তাদের থাকার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সরকার আইন সংবিধান উপেক্ষা করে হিংসার বিদ্বেষ চরিতার্থ করতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এখন তাকে বিচারের নামে সাজা দিতে কারাগারে আদালত বসিয়েছেন।
কারাগারে অসুস্থ মানুষের বিচার করা যায় না দাবি করে মোশাররফ হোসেন বলেন, তাহলে অসুস্থ খালেদা জিয়ার বিচার হয় কিভাবে? সরকারের কাছে স্বাস্থ্যগত ঝুকি বন্ধে সুচিকিৎসার দাবিও এসময় করেন তিনি।
সিআরপিসির বিধান অনুযায়ী বিচার হতে হবে উন্মুক্ত উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কারাগারের ভিতরে বিচার প্রক্রিয়া প্রকাশ্য বিচার নয়। সরকার আইনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কথা বলছেন না জানিয়ে মোশারফ বলেন, তারা বলছে কারাগারের গেইট খোলা রাখা হয়েছে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনগণ আর বেশিদিন এই সরকারকে দেখতে চায় না। কোমলমতি শিশুরা রাস্তায় নেমে রায় দিয়েছে তারা রাষ্ট্রের মেরামত চায়। আমরা বলছি নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের মেরামত করতে হবে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা রহমান।