spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু, ২ আসামির অনাস্থা

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া চ্যারিটেবেল ট্রাস্ট মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। তবে এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন এ মামলার অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান। এ সময় জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে মুন্নাকে।

পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মো: আখতারুজ্জামানের আদালতে আজ সোমবার এ মামলায় শুনানি শুরু হলে মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া মামলার মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়।

এ সময় খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আরেকটি আবেদনও করা হয়। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এবং জামিন বৃদ্ধি করেন।

অপরদিকে আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আবেদনে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলা চলবে বলে আদালত আদেশ দেন। যা আইনসম্মত হয়নি। এতে মামলা পরিচালনায় কোরাম সঙ্কট হবে। তাই আমরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। এবং দুই আসামির জামিন আবেদন করছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির মামলার কার্যক্রম মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ সময় মুন্নার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আদালতের প্রতি অনাস্থার একটি লিখিত আবেদন দেন। এ সময় মনিরুল ইসলামের আইনজীবীও লিখিত অনাস্থার আবেদন দেন।

তখন বিচারক জামিন বিষয়ে পিপিকে জিজ্ঞাসা করলে পিপি বলেন, যেহেতু আসামির বিচারকের প্রতি আস্থা নেই। সেহেতু আবেদন নামঞ্জুর করেন। তখন আদালত মুন্নার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মামলার বিচার কার্যক্রম আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি রাখেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর থেকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ