পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সংঘাতসহ অপহরণ-চাঁদাবাজি, গুম-খুন ও সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধিতে অত্যাধুনিক ভারী মারনাস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে পাহাড়ের সন্ত্রাসীরা। আঞ্চলিক দলের ছত্রছায়ায় এই সকল সন্ত্রাসী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠে বর্তমান সময়ে প্রতিদিনই সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে।
পাহাড়ে বিরাজমান এই সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় করে তারা। পরে এই অস্ত্রগুলো পার্বত অঞ্চলের গহীন অরণ্যে অবস্থানরত এই সকল সন্ত্রাসীদের কাছে পৌছে দিচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দলগুলো।
বিগত কয়েকমাস ধরেই এই চক্রটি বিদেশী ভারী অস্ত্র মজুদ করে আসছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তথ্য ছিল। এরই প্রেক্ষিতে রাঙামাটি সদরের কাপ্তাই হ্রদের ওপারে বালুখালী ইউনিয়নের কাইন্দারমুখ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের একটি দল। এসময় সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তাদের আস্তানা থেকে অত্যাধুনিক পাঁচটি ভারী অস্ত্র ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের দায়িত্বশীল সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ০২টি ৭.৬২ মিঃমিঃ এসএমজি, ০১টি এ্যাসল্ট রাইফেল, ০২টি পিস্তল, ১৬ রাউন্ড এ্যামোনিশন, ০২টি এসএমজির ম্যাগাজিন, ০১টি এ্যাসল্ট রাইফেলের ম্যাগাজিন, ০২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও ০১ টি সিলিং উদ্ধার করা হয়।
রাঙামাটির কোতয়ালী থানার অফিসার সত্যজিৎ বড়–য়া জানান, সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে আমাদের কাছে দিয়েছে, আমরা এগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।