spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

এশিয়া কাপে আজ বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রথমবার হয়নি, হয়নি দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেও। হাতছেঁায়া দূরত্বে দঁাড়িয়েও এশিয়া কাপের ট্রফিটা নিজেদের করে নেয়া যায়নি। তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় মহাদেশীয় ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের স্মারকটা ছঁুয়ে দেখা হবে তো টাইগারদের? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ, দুবাই আন্তজাির্তক স্টেডিয়ামে হট ফেভারিট ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের শেষে। যদি সেই উত্তরটা ইতিবাচক হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটে রচিত হবে নতুন এক ইতিহাস। প্রথম কোনো আন্তজাির্তক আসরের শিরোপা ঘরে তুলবে টাইগাররা।

প্রথমের স্বাদ নেয়া যেত ছয় বছর আগেই, ২০১২ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেই। কিন্তু মিরপুরে শেষের নাটকীয়তায় হাতের নাগালে থাকা শিরোপাটা কেড়ে নেয় পাকিস্তান। হৃদয় ভাঙার বেদনায় মুশফিক-সাকিবদের সেদিনের কান্নার দৃশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেট পূরাণে ‘হরিষে বিষাদ’ অধ্যায় হয়ে আছে। এবার সেই পাকিস্তানকে হারিয়েই ফাইনালে বাংলাদেশ, যে ফাইনাল মাশরাফি বিন মতুর্জার দলকে এনে দিয়েছে আক্ষেপ ঘোচানোর উপলক্ষ।

প্রতিশোধেরও নয় কি? দুই বছর আগে সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে তো এই ভারতের কাছে হেরেই শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ওই আসরটি ছিল টি২০ ফরম্যাটে, এবার ওয়ানডে। বদলেছে ফরম্যাট, ভাগ্য বদলাবে টাইগারদের? কোটি টাকার এই প্রশ্ন সামনে রেখেই মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের ফাইনাল। যে ফাইনালে স্পষ্টতই আন্ডারডগ বাংলাদেশ, পরিষ্কার ফেভারিট ভারত। চলতি আসরে অপরাজিত তারা। রোহিত শমার্র নেতৃত্বাধীন দলটির শক্তির ধার দেখেছে টাইগাররাও, সুপার ফোরের ম্যাচে তাদের সঙ্গে ন্যূনতম লড়াইটাও গড়া যায়নি।

এশিয়া কাপের দুটো ফাইনাল যেমন বাংলাদেশের ক্রিকেটে হাহাকারের গল্প, ক্রিকেটের বড় মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচও তাই! বেছে বেছে মহাগুরুত্বপূণর্ ম্যাচগুলোতে এই ভারতই প্রতিপক্ষ হয়ে দঁাড়ায়। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়াটার্র ফাইনাল, ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল; বাংলাদেশের রূপকথার যাত্রা থামিয়ে দিয়েছে ভারতই। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালটা তো রয়েছেই। আছে ওই বছরই টি২০ বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্যভাবে মাত্র ১ রানে হেরে যাওয়ার হতাশাও। অতীতের ওইসব দুঃখগাথা মোচনের দারুণ এক সুযোগ এখন মাশরাফি-মুশফিকদের সামনে।

ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ চিরায়ত, সাম্প্রতিককালে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথটাও। ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে বিশেষ করে ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের কোয়াটার্র ফাইনালে বাংলাদেশের হার এবং ওই হারের পেছনে আম্পায়ারদের বিতকির্ত কিছু সিদ্ধান্তের কারণে। ওই বিশ্বকাপের পরপরই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসা ভারতকে হারের তিক্ত স্বাদ দেয়া নতুন করে রং চড়িয়েছে তাতে। কিন্তু শক্তির বিচারে ভারত যে বাংলাদেশের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে, তার প্রমাণÑ ২০১৫ সালের ওই দ্বিপক্ষীয় সিরিজের পর থেকে বাংলাদেশের কাছে অজেয় ভারত, সেটা ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই।

স্বভাবতই আজকের ফাইনালেও ফেভারিট ভারত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে তারা জেতেনি (ম্যাচটা টাই হয়েছে) ঠিক, ওই ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা মাঠে নেমেছিল নিয়মিত একাদশের পাঁচজনকে বিশ্রাম দিয়ে। একে গোটা আসর থেকেই বিশ্রামে বিরাট কোহলি, তার মধ্যে রোহিত-ধাওয়ান-বুমরাহ-ভুবনেশ্বররা ছিলেন না। তাই আফগান ম্যাচ দেখে ভারতের পারফরম্যান্স বিচার করতে যাওয়ার বোকামি করবেন না! শিরোপার লড়াইয়ে আজ পূণর্ শক্তি নিয়েই নামবে টিম ইন্ডিয়া। স্বভাবতই আরও একবার আবুধাবি থেকে দুবাইয়ে গিয়ে খবর্ শক্তির বাংলাদেশকে পড়তে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ