ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্য প্রযুক্তির মহাপ্রলয়ে সাংবাদিকতা দিন দিন চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। সেই সাথে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রিন্টিং মিডিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ফোরামের সাথে মত বিনিময়কালে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দ বাজার এসিসটেন্ট সম্পাদক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
চট্টগ্রাম রিপোটার্স ফোরাম আয়োজিত ” দুই বাংলার সাংবাদিকতা ” শীর্ষক আলাপচারিতা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় গন মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এসিসট্যান্ট এডিটর অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সিআরএফ সভাপতি কাজী আবুল মনসুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেনসিআরএফ নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, অর্থ সম্পাদক আইয়ুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ, ক্রীড়া ও সাস্কৃতিক সম্পাদক লোকমান চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুল কদির, আন্তর্জাতিক সম্পাদক সারোয়ার আমিন বাবু, নির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত, শামসুল হুদা মিন্টু, সি প্লাস টিভির খোরশেদুল অালম শামীমসহ সিআরএফ সদস্যরা।
তিনি বলেন মিডিয়া মালিক এবং কর্মীদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরনের জন্যই শাসক দল মিডিয়ার কন্ঠ চেপে ধরার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের মিডিয়া মালিক এবং কর্মীদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরনের জন্যই শাসক দল মিডিয়ার কন্ঠ চেপে ধরার সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া গনতন্ত্র এবং বিচার বিভাগ প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়নি বলেই মিডিয়ার উপর বিভিন্ন ধরনের অশনি সংকেত চেপে আসছে।
অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন, মিডিয়া হাউজগুলোসহ সংশ্লিষ্ট গনমাধ্যম কর্মীদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। পাঠকদের কাছে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। কেননা পাঠকের কাছে যদি মিডিয়া কর্মীদের বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়ে যায় তাহলে গনমাধ্যমে আর কিছু থাকেনা। তিনি বলেন বাংলাদেশের এক শ্রেনীর সাংবাদিকদের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা রয়েছে যা গনমাধ্যমের জন্য শুভ নয়। সাংবাদিকদের বিভক্তির কারনে শাসকদল সব সময় মিডিয়াকে চেপে ধরতে সুযোগ পায়। তিনি বলেন ভারতের বিশেষ করে কলকতায় সাংবাদিকদের মধ্যে রাজনৈতিক দলবাজি নেই। সেখানে গনতন্ত্র এবং বিচার বিভাগ প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেয়েছে বলেই গনমাধ্যম মত প্রকাশে স্বাধীন। ভারত এবং বাংলাদেশের মিডিয়া মালিকদের লক্ষ্য ভিন্ন। ভারতের গনমাধ্যমে বিনিয়োগকারী মালিকরা পুরোটাই পেশাদার। যেটা বাংলাদেশে এখনো হয়ে উঠেনি। একজন মালিক মিডিয়ার পাশাপাশি অন্য ব্যবসায় জড়িত থাকলে তখন অন্যের দোষ ত্রুটি তুলে ধরতে পারেনা। মালিকরা বাস্তবিক পক্ষে মিডিয়া বান্ধব হলে বাংলাদেশের গনমাধ্যমের আরো উন্নতি হবে।
তিনি আলাপচারিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুই বাংলা নয় সারা পৃথিবীর গনমাধ্যম গুলোর কাছে চ্যালেঞ্জ একই। সংবাদ মাধ্যম বদলে গেছে উল্লেখ করে অনমিত্র বলেন, অনলাইন মিডিয়ার কারনে এখনকার সময়ে প্রিন্ট মিডিয়া গুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সংবাদের প্রচার ধরন,পরিবেশন সকল কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল আসাতে পাঠকরা সব ধরনের নিউজ মুহুর্তেই পাচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্মার্ট ফোনের কারনে তা আরো সহজতর হয়েছে। এ কারনে বর্তমানে টেলিভিশন চ্যানেল গুলোও পাশাপাশি অনলাইন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। মানুষের খবর পড়ার অভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে অনমিত্র বলেন,অনলাইনের দাপটে আগামীতে প্রিন্ট মিডিয়া অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তবে মিডিয়া হাউজগুলো নিজের অবস্থানে অটল তাকে তাহলে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মিডিয়া সামনে এগিয়ে যাবে। তবে তিনি বলেন অনলাইন গনমাধ্যমে ভিত্তিহীন খবর প্রচার এবং অপেশাদারিত্ব বন্ধে নিয়ন্ত্রন রাখার পাশাপাশি একটি নীতিমালা করা প্রয়োজন। সূত্র: নিউজ চট্টগ্রাম২৪.কম