ডেস্ক রিপোর্ট: রিউমাটো আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাম হাত বেঁকে গেছে এবং তিনি বাম কাঁধ নাড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ড. এম এ জলিল।
এ ব্যাপারে ডা. জলিল বলেন, ‘৩০ বছর ধরে খালেদা জিয়া এই রোগে ভুগছেন। রোগটির নাম রিউমাটো আর্থ্রাইটিস। এই রোগ কন্ট্রোলে না রাখার কারণে তার বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তার বাম হাত বেঁকে গেছে, বাম কাঁধ নাড়াতে পারেন না, হাত ঝিম ঝিম করে। তার ঘাড়ে ও কোমরে ব্যথা আছে। তার বাম হিপজয়েন্টে আর্থ্রাইটিস আছে। তার দুই হাঁটু আগে থেকে রিপ্লেস করা, সেখানে কিছুদিন আগে ফুলে গিয়েছিল। ওষুধ দিয়ে তা ঠিক করা হয়েছে।’
সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ড. জলিল।
তিনি আরও বলেন, ‘উনি বিশ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। তাকে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের জন্য ইনসুলিন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা নেননি। তার ডায়াবেটিসের কী অবস্থা সেটি আমাদের দেখতে হবে। মাঝখানে তার সুগার কমে হাইপো-ডায়াবেটিস হয়ে গিয়েছিল। তিনি ব্লাডপ্রেসারের ওষুধ খাচ্ছেন। মাঝখানে কিছু দিন আগে তার জ্বর হয়েছিল। সেটা এখন নাই। তার শরীরের সোডিয়াম কমে গিয়েছিল। ওষুধ দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় খালেদার জিয়ার অসুখের ব্যাপারে বাংলায় ব্যাখ্যা করে বলতে বলা হলে ড. জলিল বলেন, ‘এটি এক ধরনের বাত, গিঁটে গিঁটে ব্যথা। এর চিকিৎসা না হলে ঘাড়ে-মাজা-কোমরে ব্যথা হয়। এর চিকিৎসা একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে কিনা এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনার ফিজিওথেরাপি শুরু করে দেবো।’ প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চারজন সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে খালেদা জিয়াকে আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে এনে বিএসএমএমইউয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে ৬১২ নম্বর কেবিনে আছেন।