সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটে আগামীকাল বুধবার ড. কামাল হোসেন-এর নেতৃত্বাধীন নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এই জনসভা সফলের লক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্ততি । নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত এ জনসভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনার জন্য সিলেটবাসী উদগ্রীব। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রথম জনসভায় নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জনসভায় জনতার ঢল নামবে –এমনটি আশা করছেন সিলেটের নেতৃবৃন্দ। সে লক্ষ্যে তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

সোমবার জনসভা স্থলে মঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই পুরোপুরি মঞ্চ নির্মাণ শেষ হবে । সমাবেশ ঘিরে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা একাধিক বৈঠক করেছেন । আজ মঙ্গলবার নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা চালাবেন নেতা-কর্মীরা। এর আগে সমাবেশ সফল করতে সোমবার দুপুর থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয় সিলেটজুড়ে। সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন গনফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন । প্রধান বক্তা থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া, ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। হজরত শাহজালাল ও শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতও করবেন ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।

গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হওয়া নতুন এ জোটে বিএনপি ছাড়াও রয়েছে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য এবং গণফোরাম।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র আবুল কাহের শামীম জানান, সমাবেশের অনুমতি লাভের পর সোমবার থেকে রেজিস্ট্রারি মাঠে মঞ্চ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুতি সভাও সম্পন্ন হয়েছে। জনসভায় নগরজুড়ে জনতার ঢল নামবে বলে আশা করছেন তিনি।

সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ‘সমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আমরা সমাবেশের জন্য অল্প সময় পেয়েছি। এই সময়ের মধ্যেই সর্বোচ্চ সংখ্যক জনতার অংশগ্রহণের চেষ্টা আমরা করছি।’
এদিকে, জেলা বিএনপি তাদের আওতাভুক্ত ১৩টি উপজেলা ইউনিটকে নিজ নিজ শাখার ব্যানারসহ সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই নির্দেশনা মহানগর বিএনপি তাদের আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ড বিএনপিকে দিয়েছে। গণফোরাম ও নাগরিক ঐক্য তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি বলেন, ‘এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের দিকেই যাত্রা শুরু করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।’
সিলেট মহানগর গণফোরামের সভাপতি এডভোকেট আনসার খান বলেন, ‘আমরা সমাবেশের জন্য জনগণের সাথে যোগাযোগ রাখছি, কর্মীদের সাথে কথা বলছি। ঘরোয়া বৈঠকও করছি। তবে পুলিশের বাধার কারণে বড় ধরনের কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমরা নেতা-কর্মীদের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে নির্দেশ দিয়েছি।’

সমাবেশের বিষয়ে সিলেট জেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্যসচিব তৌফিক পাশা বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমরা নেতাকর্মীদের একত্রিত করার চেষ্টা করছি, সভাও করেছি। সর্বস্তরর নেতাকর্মী যাতে সমাবেশে উপস্থিত থাকে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ জানান, ‘১৪ শর্তে রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত শর্ত ছাড়াও জনসভার দিনে নগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাড়তি নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকবে।

সর্বশেষ