বিশিষ্ট আইনজীবী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বিশেষ পছন্দের খাবার ‘চিজ কেক’ হোটেল র্যাডিসন থেকে আনা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী-১ (এপিএস-১) এবং প্রটোকলের চৌকস কর্মকর্তারা এসব খাবার প্রস্তুতের তদারকি করছেন। খাবারের ব্যবস্থাপনায় থাকছে পর্যটন কর্পোরেশন।
সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেনকে সংলাপের চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ তার পছন্দের খাবার সম্পর্কে জানতে চান। তবে, ড. কামাল চিজ কেক ছাড়া বিশেষ কিছু বলেননি। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফোন করে আব্দুস সোবহানকে ড. কামালের পছন্দের খাবারের কথা জেনে আসতে বলেন।
এছাড়াও খাবারের মেন্যুতে আরও থাকছে পিয়ারু সর্দারের মোরগ পোলাও, চিতল মাছের কোপ্তা, রুই মাছের দো-পেঁয়াজা, চিকেন ইরানি কাবাব, বাটার নান, মাটন রেজালা, বিফ শিক কাবাব, মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজের ফ্রেশ জুস, চিংড়ি ছাড়া টক-মিষ্টি স্বাদের কর্ন স্যুপ, চিংড়ি ছাড়া মিক্সড নুডলস, মিক্সড সবজি, সাদা ভাত, টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের দই, মিক্সড সালাদ, কোক ক্যান এবং চা ও কফি।
ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার যাবেন সংলাপে অংশ নিতে। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনের নিচতলার কনফারেন্স রুমে এ সংলাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের পক্ষে অংশ নেবেন ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ১৪ দলের পক্ষে প্রথমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংলাপে ২১ জনের অংশ নেয়ার কথা জানানো হলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ২২ সদস্যর প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন বলে জানায় আওয়ামী লীগ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও বিকল্পধারা এবং জাতীয় পার্টির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকেও সংলাপে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিকল্পধারার সংলাপ হবে ২ নভেম্বর এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপ হবে ৫ নভেম্বর।