spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

খালেদা জিয়াকে ফের কারাগারে পাঠানো সরকারের ভয়ঙ্কর চক্রান্ত

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: চিকিৎসা না দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের ভয়ঙ্কর চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য আদালতের নির্দেশনা ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশকে লঙ্ঘন করে সরকার দেশনেত্রীকে আজ হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, তার চিকিৎসা শুরুই হয়নি, কেবল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, আর সেই মূহুর্তে দেশনেত্রীকে কারাগারে প্রেরণ করা শুধু মনুষ্যত্বহীন কাজই নয়, এটি সরকারের ভয়ঙ্কর চক্রান্ত।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার ডাক্তার ও তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আতিকুল হকের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন। ডাক্তার আতিক খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছুটির ছাড়পত্র দেননি এবং মেডিকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাক্তার জলিলুর রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে, এমতাবস্থায় সরকারের নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খালেদা জিয়ার ছাড়পত্র দিতে বাধ্য করতে চাপ সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ দেশনেত্রীর জীবনকে বিপন্ন করার অথবা শারীরিকভাবে চিরতরে পঙ্গু করার চক্রান্ত সরকারের কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকার।

রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে সংলাপকালে কথা দিয়েছিলেন-নতুন মামলা দেয়া হবে না, গ্রেপ্তার করা হবে না এবং প্রকৃত রাজবন্দীদের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কোন বিশ্বাস মেলেনি।
গতকালের সংলাপে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমিও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত তিন দিন ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের চিরুনী অভিযান চালিয়ে ছেঁকে ধরা হয়েছে, তার জন্য। জেলা-মহানগরের সভাপতি থেকে শুরু করে সাবেক এমপি কেউই সরকারের গ্রেপ্তার অভিযান থেকে রেহাই পাননি। এমনকি সমাবেশে আসা ও যাওয়ার পথে হাজারের অধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করার পর প্রথমে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে এই কথা বলে দর কষাকষি করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও ছাড়া হয়নি। এমনিকি ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের বড় বড় গ্রুপ করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তল্লাশী ও পুলিশী হানাতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ও এলাকা ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। রিজভী প্রশ্ন রাখেন, সংলাপ কি তাহলে চূড়ান্ত আক্রমণের পূর্বে কিছুটা সময়ক্ষেপণ। তা না হলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করার অঙ্গীকার করার পরও এতো তান্ডব, এতো পাইকারী গ্রেপ্তার ! সরকার কি তাহলে প্রতারণা ফাঁদ তৈরী করেছে ? প্রধানমন্ত্রী অতিতের মতো বলেন একটা, কিন্তু কাজ করেন অন্যটা।
এসময় তিনি সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হামলা মামলার তথ্য তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাংগঠনিক সহ সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, দপ্তর সহ সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ