বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলের পক্ষ থেকে তিনটি আসনে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়লেন তিনি।
শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে ওই আপিলের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইসি।
এর আগে বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরবর্তীতে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আপিল করা হয়।
শনিবার দুপুরে খালেজা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, নিম্ন আদালতে দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের আরও শুনানি করবে কমিশন। তবে আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার পর এই শুনানি হবে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কোনো স্কোপ নাই, অবকাশ নাই। তারপরে আইনগভাবে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকারী। যে আদেশ রিটার্নিং অফিসার দিয়েছেন সেটা আইনের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে বিকেল ৫টায় যথাযথ আদেশ দেবেন এবং আইনগত আদেশ দেবেন এবং রিটার্নিং অফিসারের যে আদেশটি সেটা বেআইনি ও বাতিল করবেন। আশা করি বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’
খালেজা জিয়ার এ আইনজীবী বলেন, ‘সেখানে যে জিনিসগুলো আছে নির্বাচনসংক্রান্ত ব্যাপারে কোন কোন ক্ষেত্রে এই অপরাধ হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ এখনও নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়নি, এখনও বেগম খালেদা জিয়া মার্কা নিয়ে রাস্তায় নামেনি। কাজেই বেগম খালেদা জিয়া এমন কোনো অন্যায় করেনি, এমন কোনো অপরাধ করেনি যেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত বিধান দিয়ে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা যায়।’